চামড়া শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি সম্ভাবনাময় শিল্পখাত। চামড়া শিল্পখাতে কোনো ধরনের অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চামরাজাত পণ্যকে বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্পকে সাভারের নির্ধারিত পল্লিতে স্থানান্তর ছিল একটি সাহসী পদক্ষেপ।
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৯ অবহিতকরণ’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে শতকরা ৬০ ভাগ মূল্য সংযোজন সম্ভব। তাই আমাদের সরকার ২০২১ সালের মধ্যে চামড়া শিল্পখাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। চামড়া শিল্পের কাঁচামালে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু দেশীয় চামড়াজাত পণ্যের অনুকূলে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) ছাড়পত্র বা সার্টিফিকেশন না থাকায় আমাদের রফতানি আশানুরূপ হারে বাড়ছে না।
মন্ত্রী বলেন, সাভার চামড়া শিল্পনগরী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে ইতোমধ্যে ‘ঢাকা ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড’ গঠন করা হয়েছে। যেহেতু এলডব্লিউজি সার্টিফিকেট অর্জন চামড়াখাতে রফতানি বৃদ্ধির একটি অন্যতম পূর্বশর্ত, সেহেতু আমাদের সরকার চামড়া শিল্পখাতে কোনো ধরনের অনিয়ম বা বিচ্যুতিকে প্রশ্রয় দেবে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে ২২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বাজার রয়েছে। অথচ বাংলাদেশ এ খাতে মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করে থাকে।
কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েনের চেয়ারম্যান মো. শাহিন আহমেদ, ইআরএফ সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আনন্দবাজার/ইউএসএস