স্বাধীনতার পর এই প্রথম কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌ বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী একটি নৌযান। গতকাল সোমবার দুপুর সোয়া একটারয় কাঁচকোল নৌপয়েন্ট থেকে শান আবিদ-১ নামে বাংলাদেশি নৌযানটি ঝুট পণ্য নিয়ে ভারতের ধুবরির উদ্দেশে রওনা হয়।
এ সময় বন্দরে উপস্থিত ছিলেন চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার (বীরবিক্রম), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান, রাজস্ব কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জামান আহমেদসহ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা।
কাস্টমসের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট জামান আহমেদ বলেন, ভারত থেকে নৌপথে চিলমারী নৌবন্দরে পণ্য পরিবহণ খরচ তুলনামূলক কম। এতোদিন ভারত থেকে চিলমারী বন্দরে পাথর এলেও এই প্রথম চিলমারী নৌবন্দর থেকে বাংলাদেশি নৌযানে পণ্য ভারতে যাচ্ছে। প্রথম দিন ২৭ টন ঝুট পণ্য নিয়ে লিজেন্ড কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের শান আবিদ-১ নামের একটি নৌযান ভারতের ধুবরির উদ্দেশ্যে চিলমারী নৌবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।
জামান আহমেদ আরও বলেন, ‘শেরপুর তুলার মিল’ নামক রফতানিকারী প্রতিষ্ঠান জাহাজে ২৭ টন ঝুট পণ্য রপ্তানি করেছে। বাণিজ্য সুবিধা বহাল থাকলে আগামীতে আরও পণ্য রপ্তানি হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে চিলমারীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি উদ্বোধন করতে এলে আমরা এই নৌবন্দর চালুর দাবি জানিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, আজ তার বাস্তবায়ন হলো। এই বন্দর আমাদের গৌরব। আজ পণ্য নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে জাহাজ ছেড়ে যাওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রীসহ জেলাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।
রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাবেক সমন্বয়ক ও কলামিস্ট নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, ‘পণ্য রপ্তানি খুবই উল্লেখযোগ্য ঘটনা। চিলমারী বন্দরের নতুন যাত্রাকে অভিনন্দন জানাই। কুড়িগ্রামের শিল্পায়ণে এই রপ্তানি জরুরি।”
ইউএনও মাহবুবুর রহমান বলেন, কুড়িগ্রামের জন্য আজ আনন্দের দিন। চিলমারী নৌবন্দরকে কাজে লাগিয়ে আমরা আবারও ভারতে পণ্য রপ্তানি শুরু করেছি। আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পূর্ণ গতি পেলে চিলমারী তথা কুড়িগ্রাম জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীল হবে।
আনন্দবাজার/শহক