ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ জোগাড়ে ব্যর্থ বিজেএমসি

সময়মতো বেতন-ভাতা না পাওয়ায় রাজপথে ভুখা মিছিল করছেন পাটকল শ্রমিক-কর্মচারীরা। অপরদিকে খুলনা-যশোরের রাষ্ট্রায়ত্ত নয় পাটকলের গুদামে মজুদ আছে ৩০ হাজার ৪৬২ টন পাটপণ্য, যার বাজারমূল্য ২৭০ কোটি টাকা। শ্রমিকদের পরিশোধ করার জন্য অর্থ জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)।

অবশেষে সরকারি তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ অর্থ আগস্ট-নভেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধে ব্যয় করা হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সুদানে রফতানি বন্ধ থাকায় মজুদে এ পরিমাণ স্থিতি রয়েছে। স্থানীয় বাজারে পাটপণ্যের চাহিদা বাড়লেও মজুদ কিছুটা কমেছে। কার্যকরী মূলধন না থাকার কারণে কাঁচা পাটের মজুদ নেই। ফলে উৎপাদনও কমেছে। মিলগুলোয় উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ২০ শতাংশ উৎপাদন হচ্ছে।

এদিকে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকল শ্রমিকের ১০ থেকে ১১ সপ্তাহের মজুরি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চার মাসের বেতন বাবদ ৫৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ ৪৪ কোটি ২২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা এবং কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন বাবদ ৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে।

বাংলাদেশ পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সরদার আব্দুল হামিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খুলনা অঞ্চলের নয়টি পাটকলের শ্রমিকরা ২৫ নভেম্বর ভুখা মিছিল করেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি সুইপাররাও পে-কমিশনের আওতায় বেতন পাচ্ছেন অথচ শ্রমিকদের মজুরি কমিশন বাস্তবায়নে টালবাহানা চলছে।

বকেয়া বেতন-ভাতার পাশাপাশি ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শ্রমিকরা বলে জানান ক্রিসেন্ট জুট মিল সিবিএর সাবেক সভাপতি মো. মুরাদ হোসেন। খালিশপুর জুট মিলের সভাপতি দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, পাটকল শ্রমিকরা নিয়মিত মজুরি না পেয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়াসহ নিত্যদিনের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

খুলনা ও যশোরের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলে পাট ক্রয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ নেই, শ্রমিকদের ১০-১১ সপ্তাহের মজুরি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে, পিএফ বাবদ বাকি ৮৭ কোটি টাকা, গ্র্যাচুইটি বাবদ বাকি ২৩০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এছাড়া পাটের দেনা ১৮৬ কোটি টাকা। অন্যান্য খাতে প্রায় ৭২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এত টাকা বকেয়া থাকলে শ্রমিকরা চলবেন কী করে! জানান প্লাটিনাম জুট মিলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান।

 

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন