ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৃথিবীর সব দেশেই পেঁয়াজের দাম বেশি !

পৃথিবীর সব দেশেই এখন পেঁয়াজের দাম বেশি। তবে আগামী রোজার আগে যাতে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না বাড়ে, সে লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ।

গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই এখন পেঁয়াজের দাম বেশি। মিয়ানমারে কম ছিল, এখন বেড়েছে। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাংলাদেশী টাকায় ১৪২ টাকার মতো।

সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তোফায়েল আহমেদ বলেন, পরিবহন খরচের কারণে ঢাকার বাজারে সবজির দাম বেশি। ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য একটাই পথ। আমাদের দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো। উৎপাদন বাড়াতে হলে যেটা করতে হবে, কৃষকরা যাতে ন্যায্য দাম পায়। আগামীতে যেটা চিন্তা করছি, আমাদের উৎপাদন বাড়লে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আনা কমিয়ে দেব। আমরা কোনোভাবেই প্রেডিক্ট করতে পারব না কবে নাগাদ কমতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষাটা হলো আমদানি করা পেঁয়াজের ৯০ ভাগ আমরা একটি দেশের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। এটা ঠিক হয়নি। ২৯ সেপ্টেম্বর তারা বন্ধ করে দিল। ২-৩ অক্টোবর আমরা দিল্লিতে ছিলাম। তারা কথা দিয়েছিল মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের পর তারা ব্যানটা ওঠানোর ব্যাপারে চিন্তা করবে, তারা সেটা করেনি।

সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার পর বাংলাদেশে এ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে। যে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যেত, তার দাম কয়েক দিনের মধ্যে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এরপর ক্রমেই বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। এর মধ্যে নভেম্বরের প্রথমার্ধে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতের পর সরবরাহ বিঘ্নিত হয়ে পেঁয়াজের দাম ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

https://www.odhikar.news/economics/104800 বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজের দাম জানতে ক্লিক করুন

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন