বাংলাদেশ জাহাজ শ্রমিক ফেডারেশনের ১৪ দফা ও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবির কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর ও দেশের নানা ঘাটে কোনো পণ্য খালাস হচ্ছে না। ফলে বন্দর ঘাটে প্রায় ৩১ লাখ টন পণ্য আটকা পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে কর্মবিরতি শুরুর পরই সাগর থেকে নদীপথে ও বন্দর ঘাটে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর হিসাব আনুযায়ী, ৫৭টি বিদেশি সমুদ্রগামী বড় জাহাজে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টন এবং ছোট আকারের ১ হাজার ২৮৬ জাহাজে ১৮ লাখ টন পণ্য রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস না পাওয়া এসব পণ্যের বড় অংশই সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল, ইস্পাতের কাঁচামাল, কয়লা, সার, ভোগ্যপণ্য প্রভৃতি। কর্মবিরতির কারণে বন্দর থেকে বড় জাহাজ যেমন পণ্য স্থানান্তর বন্ধ রয়েছে। তেমনি জাহাজ থেকে ঘাটে বা কারখানায় পণ্য খালাসও বন্ধ রয়েছে।
ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল নামের লাইটার জাহাজ বরাদ্দকারী সংস্থার হিসাবে, দেশের ৩৭টি ঘাটে ৯৮৬টি লাইটার জাহাজে আটকে আছে। যার মধ্যে ১২ লাখ ৮৯ হাজার টন পণ্য রয়েছে। বন্দরের বহির্নোঙরে ২৫টি বড় জাহাজ থেকে এসব পণ্য খালাস করে সারা দেশে নদীপথে পণ্য খালাসের ঘাটে এসব পণ্য নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু কর্মবিরতির কারণে এসব লাইটার জাহাজ ঘাটে নোঙর করে আছে। এছাড়াও ১১ টি শিল্পগ্রুপের ৩০০ জাহাজে সাড়ে ৫ লাখ টন পণ্য আটকে আছে। অর্থাৎ শুধু লাইটার জাহাজে ১৮ লাখ টন পণ্য আটকে আছে ।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক জানান, কর্মবিরতির কারণে বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য স্থানান্তর বন্ধ রয়েছে। নদীপথে সমস্যা হলেও জেটিতে পণ্য খালাসে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
আনন্দবাজার/এম.কে