ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার পাইকার ও আড়তদারদের ডাকবে শুল্ক গোয়েন্দা

পেঁয়াজের দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে এবার গোয়েন্দা অফিসে ডাকা হতে পারে বড় পাইকার ও আড়তদারদেরকে। আমদানিকারদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম।

৪৪ জন আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে  তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, আমদানিকারকরা পেঁয়াজের মজুত করেন না। তবে তারা যাদের কাছে বিক্রি করেছেন তাদের (পাইকার, আড়তদার, এজেন্ট) কাছ থেকেও তথ্য নেওয়া হবে।

আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, প্রকৃত আমদানিকারকরা কখনই পেঁয়াজ মজুদ করেন না। কারণ ভারতীয় পেঁয়াজ মজুদ করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। তবে সংকটের সুযোগে নিয়ে কিছু ‘মৌসুমি আমদানিকারক’ দর বাড়িয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাও দাম বাড়িয়েছে।

আমদানিকারকরাে আরও বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ভোক্ত পর্যায়ে  সর্বোচ্চ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা হওয়ার কথা ছিলো। এর বাইরে কারা বাড়তি দামে বিক্রি করেছে, তাদের খুঁজে বের করার প্রয়োজন।

মেঘনা গ্রুপের ডিজিএম সৈয়দ খালিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিটন ৪৪৫ ডলার দামে তুরস্ক থেকে তারা এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। এই পেঁয়াজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে টিসিবিকে দেওয়া হবে ৪২ টাকা দামে।

দিনাজপুরে আমদানিকারক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, গত চার মাসে  আমদানি করা পেঁয়াজের দর ছিল ১৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭২ টাকা। সর্বোচ্চ দামে কেনা এই পেঁয়াজ সব খরচসহ ভোক্তার হাতে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ার কথা।

তিনি বলেন, ২৯ তারিখ ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর কিছু মৌসুমি আমদানিকারক এই কারসাজির পেছনে দায়ী। সরকারের উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃত আমদানিকারকদের নিয়ে বসে পলিসি ঠিক করা।

 

 

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন