ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাপানে তৈরি পোশাকখাতে রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ

জাপানে তৈরি পোশাকখাতে রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ

বিশ্ববাজারে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প সিনথেটিক ফাইবার দিয়ে পোশাক তৈরির দিকে মনোযোগ বাড়াচ্ছে। এতে পোশাকখাতের বিশ্ববাজারের দিক ও গতি পরিবর্তন হচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজার রয়েছে। তবে এই বাজার পূর্বমুখী করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এজন্য দেশের সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের খাতগুলো, বিশেষ করে নন-কটন টেক্সটাইল খাতে বিনিয়োগকারী দেশের খোঁজ করছে বাংলাদেশ।

সম্প্রতি নন-কটন খাতে বিনিয়োগ করতে জাপানের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে জাপানী রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। গত সোমবার গুলশানের বিজিএমইএ পিআর অফিসে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন তিনি।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পারস্পরিক সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ব্যবসার সুযোগ তৈরির জন্য বাংলাদেশ ও জাপানের ব্যবসায়ী, বিশেষ করে যারা ফ্যাশনশিল্পে জড়িত, তাদের মধ্যে যোগাযোগ শুরুর বিষয়ে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আলোচনাকালে জাপানের রাষ্ট্রদূত রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেডে) অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর জন্য নতুন বাজারে রফতানির বিপরীতে প্রণোদনা সুবিধা সম্প্রসারণের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশে অধিক জাপানি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা আরও সহজীকরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। বিজিএমইএ সভাপতি আশা প্রকাশ করেন, জাপান বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রায় সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, মিরান আলী, পরিচালক আসিফ আশরাফ ও জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি হারুতা হিরোকি।

গত ২০২০ সালে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা শুরু করে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। এজন্য দশ বছর মেয়াদী দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়। জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেআইটিও), জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই) এবং চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) এজন্য কাজ শুরু করে। তবে জাপানে তৈরি পোশাক বিশেষ করে নন-কটন পোশাক রফতানিতে বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা বাণিজ্যের আরো দিক উন্মোচিত করবে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন