পরিচালন মুনাফায় উল্লম্ফন
- ইসলামী ব্যাংক ২৪৩০ কোটি টাকা
- পূবালী ব্যাংক ১১৪০ কোটি টাকা
- সিটি ব্যাংক ১১০১ কোটি টাকা
- ইস্টার্ন ব্যাংক ১০৫০ কোটি টাকা
সদ্যবিদায়ী বছরে দেশের বেসরকারি খাতের চারটি ব্যাংক হাজার কোটি টাকার পরিচালন মুনাফার ক্লাবে প্রবেশ করেছে। করোনা মহামারির দ্বিতীয় বছরে পরিচালন মুনাফার বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটে গেছে এসব ব্যাংকে। তবে ওই চারটি ব্যাংকই নয়, সদ্য বিদায়ী ২০২১ সালে সব ব্যাংকই ভালো ব্যবসা করেছে। বছর শেষে কোনো কোনো ব্যাংকের মুনাফা আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকের মুনাফার এমন উত্থানের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে আমদানি বাণিজ্য, ব্যাংকঋণের সুদ, কমিশন ও মাশুল আদায় এবং শেয়ারবাজারের মুনাফা। করোনার আগে ২০১৯ সালে বেসরকারি ব্যাংকগুলো যে মুনাফা করেছিল, সেটিকেও ছাড়িয়ে গেছে এবারের মুনাফা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হাজার কোটি টাকার বেশি পরিচালন মুনাফা করা ব্যাংক চারটি হলো ইসলামী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। গত বছরও সবচেয়ে বেশি পরিচালন মুনাফা করেছিল ইসলামী ব্যাংক।
অন্যদিকে, পূবালী ব্যাংক গত বছরে মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। আর দেশীয় মালিকানার সিটি ব্যাংক ২০২১ সালে মুনাফা করেছে ১ হাজার ১০১ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ৮০৮ কোটি টাকা।
এ ছাড়া ইস্টার্ণ ব্যাংক সদ্য বিদায়ী বছর শেষে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির এ মুনাফার পরিমাণ ছিল ৯০০ কোটি টাকা। এই ব্যাংক তিনটি করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
এসব ব্যাংকের বাইরে ডাচ্-বাংলা ও ব্র্যাক ব্যাংকেরও বড় অঙ্কের পরিচালন মুনাফা হয়েছে। বিদায়ী বছরে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মুনাফাও দ্বিগুণের কাছাকাছি বেড়েছে।
তবে অনেকেই বলছেন, বিভিন্ন সূত্রে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফাসংক্রান্ত অনানুষ্ঠানিক যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা ওই ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। তারা বলছেন মূলত, পরিচালন মুনাফা থেকে ঋণের মান অনুযায়ী নিরাপত্তা সঞ্চিতি ও করপোরেট কর বাদ দেওয়ার পরই প্রকৃত মুনাফার হিসাব পাওয়া যাবে।
আনন্দবাজার/এম.আর