ঢাকা | শুক্রবার
২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন ঠিকানায় শুরু বাণিজ্য মেলা

নতুন ঠিকানায় শুরু বাণিজ্য মেলা
  • প্রথমবারের মতো পূর্বাচলে হতে যাচ্ছে
  • অর্ধেকেরও কম স্টল থাকছে এবার
  • বিদেশি স্টলের সংখ্যাও কম
  • এবার থাকছে বঙ্গবন্ধু-স্বাধীনতা ছোঁয়া

করোনা মহামারির কারণে গেল বছরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা যায়নি। তবে এবার কিছুটা কম পরিসরে আয়োজন হতে যাচ্ছে। যদিও রাজধানীর আগারগাঁওয়ের প্রাথমিকভাবে মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি ছিল। তবে শেষ অবধি পূর্বাচলে অবস্থিত স্থায়ী ভেন্যু বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে হতে যাচ্ছে। তবে শেষ অবধি অর্ধেকেরও কম স্টল ও প্যাভিলিয়ন নিয়ে নতুন ঠিকানায় আজ ১ জানুয়ারি থেকে বসছে বাণিজ্য মেলা। যথারীতি এবারও মেলার আয়োজন করছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

ইপিবি সূত্রমতে, করোনা পরিস্থিতির কারণে মেলায় এবার কমানো হয়েছে স্টলের সংখ্যা। এছাড়া বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম। ২০২০ সালে ৪৮৩টি ছোট-বড় স্টল ও প্যাভিলিয়ন ছিল। সে সংখ্যা কমিয়ে এবার করা হয়েছে ২২৫টি। এর মধ্যে বিদেশি ৬টি স্টল ও ৪টি মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। ২০২০ সালের মেলায় ছিল ২১টি দেশের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ইরান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তানের স্টল থাকবে।

মেলার পরিচালক ও ইপিবি সচিত মো. ইফতেখার আহমেদ জানিয়েছেন, এবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মাথায় রেখে মেলা সাজানো হয়েছে। মেলায় যেন অতিরিক্ত দাম না রাখা হয় সেই বিষয়টিও লক্ষ রাখা হবে। সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও তুরস্ক অংশ নিচ্ছে মেলায়। এছাড়া দেশি এজেন্টের মাধ্যমে অনেক দেশের প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। ব্রাজিল থেকে আসতে চেয়েছিল, ওখানে করোনার প্রকোপ বাড়ায় তারা আসতে পারেনি।

এবারও প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, জেনারেল স্টল, ফুডকোড, মিনি স্টল, প্রিমিয়ার স্টল ক্যাটাগরি রয়েছে। মিলনায়তনের ভেতরে নিজস্ব একটা ক্যাফেটরিয়া রয়েছে। সেখানে একসঙ্গে ৫০০ লোক বসে খাবার খেতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের মোট ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার। এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে ও সামনের ফাঁকা জায়গা মিলিয়ে স্টল থাকবে। এতে দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে ছুটির দিনে মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবার প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথমবারের মতো মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য থাকছে ৩০টি বিআরটিসি বাস। কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মাসব্যাপী সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যাতায়াত করবে বাসগুলো। এসব বাসে ন্যূনতম ২৫ টাকা ভাড়ায় দর্শনার্থীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ৩০টি বাসের পাশপাশি বিআরটিসির মতিঝিল থেকে যে বাস চলাচল করে সেগুলো কুড়িল হয়ে মেলা প্রাঙ্গণে যাবে।

এবার গেটের থিমে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে মেগাপ্রকল্পকে। এবারের মেলার প্রধান গেটে চারটি প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। কর্ণফুলি টানেলের মতো গোল করা হয়েছে প্রবেশপথ। ওপরে সেতুবন্ধন হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে পদ্মা সেতুর প্রতীকী কাঠামো। রূপপুর পরমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং মেট্রোরেলের প্রতীকী কাঠামোও থাকছে।

মূলত, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। তখন থেকেই দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে পরিচিতি করার মাধ্যম হিসেবে নিচ্ছেন বাণিজ্য মেলাকে। ক্রেতাদের মধ্যেও মেলায় যাওয়ার জন্য ব্যাপক উৎসাহ থাকে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন