ঢাকা | শুক্রবার
২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোকসানের ক্ষত নিয়েই আলু চাষ

লোকসানের ক্ষত নিয়েই আলু চাষ

লোকসানের ক্ষত নিয়েই ফের জমিতে আলুবীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষিরা। অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে আলু বপন করে লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠার প্রত্যাশা আলু চাষিদের। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম দিকে টানাবৃষ্টিতে শ্রীনগরে উপজেলায় প্রায় ৬০০ হেক্টর বপনকৃত আলু জমি পানিতে ডুবে যায়।

এতে কোটি কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েন শতশত কৃষক। তবে জলাবদ্ধ জমির পানি নিস্কাশনের সঙ্গে সঙ্গে আবারও অতিরিক্ত শ্রমিকমজুরি দিয়ে জমিচাষ করে বীজ, সার, হালচাষে ব্যস্ত চাষিরা। খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমণ আলুর দাম পড়বে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। উপজেলায় ২২০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরেজমিনদেখা যায়, উপজেলার বীরতারা, আটপাড়া, তন্তর ও কুকুটিয়াসহ ইউনিয়নে জমিতে আলুবীজ বপন প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। অনেক কৃষক অতিরিক্ত দামে বীজ আলু সংগ্রহ করতে না পেরে হিমাগারে মজুদ করা খাবার আলুকে বীজ হিসেবে জমিতে বপন করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ অঞ্চলের জমিতে বীজ বপনের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

বীরতারা এলাকার কৃষক আবুল হোসেন, সেলিম, তোফাজ্জাল মোল্লা, জামাল হাওলাদার বলেন, চলতি মৌসুমে আলুচাষের শুরুতেই বৃষ্টির পানিতে জমিতে আলু জমি নষ্ট হয়ে যায়। ধারদেনা ও ঋণ করে ফের জমিতে আলু চাষ করছি। ভাগ্যে কি লেখা আছে জানি না। আটপাড়ার এলাকার তারাটিয়ার বর্গাচাষি মো. শিমুল বলেন, ২০ হাজার টাকায় এককানি (১৪০ শতাংশ) জমি আলু চাষের ওপর এগ্রিমেন্ট নেই। জমিতে বীজ বপনের পরেই বৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে যায়। শুরু হয় বৃষ্টি। এতে বিড়ম্বনায় পড়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত দামে জমি চাষ, সার, বীজ সংগ্রহ করে আলু চাষ করেছি। কুকুটিয়া এলাকার আলম মোল্লা বলেন, ১০ কানি জমিতে আলু চাষের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। জমিতে সার ছিটিয়ে টিলার মেশিনে চাষ দেই। অসময়ে হঠাৎ বৃষ্টিতে সব স্বপ্ন ভেস্তে যায়। এখন মাত্র ৫ কানি জমিতে আলুর বীজ বপন করছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার শান্তনা রানী বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে আলুচাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন অতিরিক্ত খরচ দিয়ে পুনরায় আলু চাষ করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের প্রণোদনার বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন