ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনুমোদন ছাড়াই ভোজ্যতেলের মূল্য বাড়াল কোম্পানিগুলো

নিয়ম অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াতে চাইলে প্রথমে ট্যারিফ কমিশনে আবেদন করতে হয়। তথ্যের বিচার বিশ্লেষণ ও যৌক্তিকতা প্রমাণ করে কমিশনের অনুমোদন  কার্যকর হলে কেবল দাম বাড়ানো যায়। কিন্তু ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনের আগেই ভোজ্যতেলের দাম দুই দফায় বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো।

এর আগে সপ্তাহে বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ৪ টাকা বৃদ্ধির পর এ সপ্তাহে আরো ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো।

খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রূপচাঁদাসহ বেশকিছু ব্র্যান্ড গত সপ্তাহেই লিটারপ্রতি ভোজ্যতেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে দেয়। এরপর চলতি সপ্তাহে লিটারপ্রতি দাম আরো ১ টাকা বাড়িয়ে খুচরা দোকানিদের কাছে বিক্রি করছে ডিলাররা। আগামী সপ্তাহে দাম আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও ঘোষণা দিচ্ছেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা। রূপচাঁদার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বোতলজাত ভোজ্যতেলের দামও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেল, বিশেষ করে সয়াবিন তেলের বুকিং দর কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ যুক্তিতে বোতলজাত ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির আবেদন করেছে কোম্পানিগুলো।

বারচার্ট ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, আগামী জানুয়ারিতে সরবরাহযোগ্য প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের বুকিং দর ৮৯৫ ডলার, মার্চে ৯১০, মে মাসে ৯২৪, জুলাইয়ে ৯৩৬, আগস্টে ৯৩৯ ডলার। তবে দেশে সরবরাহযোগ্য ভোজ্যতেল আগের কম দামে আমদানি করা হলেও ফিউচার মার্কেটের বাড়তি বুকিং দরের কারণে স্থানীয় বাজারেও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো।

ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. নূর-উর-রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যের দাম বাড়াতে চাইলে ট্যারিফ কমিশনে আবেদন করতে হয়। এরপর এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসা হয়। সেখানে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিচার-বিশ্লেষণ করে দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হয়। কোম্পানিগুলোর দাবি গ্রহণযোগ্য হলে কী পরিমাণ দাম বাড়ানো হবে, সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আমরা প্রতিবেদন দিলেই দাম বাড়ানোর সুযোগ থাকে। চলতি সপ্তাহেই ভোজ্যতেল মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

দেশে ভোজ্যতেল মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্বে রয়েছে সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, টিকে গ্রুপ, এস আলম গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি পরিশোধনকারী ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানি বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন