ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রামীণখাত চাঙা করতে প্রণোদনা

গ্রামীণখাত-চাঙা-করতে-প্রণোদনা
  • ৫০০ কোটি টাকার প্যাকেজ
  • ঋণ ৫ লাখ টাকা, খাত ৮টি
  • শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির অভিঘাতে চাকরি হারিয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যা কম নয়। যাদের অনেকে দেশে ফিরে নতুন করে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করছেন। তাছাড়া করোনার কারণে চাকরি হারানো শহরের নিম্নবিত্ত ও কমআয়ের মানুষের একটি বিশাল অংশ এখন বেকার। কোনো ধরনের কর্মসংস্থান ছাড়াই গ্রামে কঠিন জীবনযাপন করছেন। যাতে করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এমন পরিস্থিতি ঠেকাতে উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘ঘরে ফেরা’ নামের একটি কর্মসূচির অধীনে গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষের জন্য পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি। তারই অংশ হিসেবে গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই প্যাকেজের আওতায় ৬ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন ঘরে ফেরা বেকাররা। এ ছাড়া ঋণদাতারা তহবিল পাবেন শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সুদে। ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে তারা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ নিজেদের আয় খাতে নিয়ে যেতে পারবেন। পুনঃঅর্থায়নের প্রকল্পে অংশ নিতে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কোনো ধরনের অংশগ্রহণমূলক চুক্তি করতে হবে না। তবে এটি বেসরকারি কিংবা বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এ ক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের জন্য তাদের চুক্তিতে সই করতে হবে।

যেসব গ্রহীতা এক লাখ থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ পাবেন। সেই ঋণ ৩ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাসের মধ্যে পরিশোধের সুযোগ পাবেন। ঋণের পরিমাণ ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে হলে ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ তা পরিশোধের মেয়াদ হবে ২ বছর। এ ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতাদের কোনো ধরনের জামানত দিতে হবে না। পুনঃঅর্থায়নের এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর। তবে পরবর্তীতে ঋণ আদায় প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চাকরি হারানোদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা গেলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হয়ে উঠবে। ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক মোট ৮টি খাত নির্বাচন করেছে। এগুলো- স্থানীয় ক্ষুদ্র পুঁজির ব্যবসা, পরিবহন খাতে ছোট আকারের যানবাহন ক্রয়, হালকা প্রকৌশল, মৎস্য ও পশুসম্পদ, তথ্য-প্রযুক্তির জন্য সেবাকেন্দ্র (সার্ভিস সেন্টার) স্থাপন, ফল ও শাকসবজি আবাদ, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং ঘর নির্মাণ ও মেরামত।

প্রসঙ্গত, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার ১০টি প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন