মঙ্গলবার, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমে গেছে ব্যাংকিং লেনদেন

দেশে ব্যাংকের সংখ্যা ও শাখা বাড়ার পাশাপাশি ব্যাংকিং বুথ, এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে পৌছে গেছে ব্যাংকিং সেবা। অর্থনীতি বড় হওয়ায় সাথে সাথে ব্যাংকিং লেনদেনও বাড়ার কথা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ব্যাংকগুলোয় অর্থের লেনদেন কমে গেছে।

যদিও ডিজিটালাইজেশনের নানা উদ্যোগের পর এখনোও দেশের ব্যাংকিং লেনদেনের সিংহ ভাগ হয় চেকের মাধ্যমে। এছাড়াও ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি), ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট, মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিংমাধ্যমে ব্যাংক লেনদেন হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক মাস ধরেই দেশের ব্যাংকিং খাতে সব ধরনের লেনদেন কমে গেছে। জুন মাসে অর্থবছরের শেষ মাস হওয়ায় সরকারের রাজস্ব আহরণ বেশি হয়েছে। এছাড়াও বেড়ে যায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন এবং সরকারের বড় বড় পেমেন্টও হয় বাজেট সমাপ্তির এ মাসে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের মে মাসে চেকের মাধ্যমে হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা লেনদেন ব্যাংকগুলোতে। কিন্তু জুনে চেকের মাধ্যমে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে এই লেনদেন । অর্থাৎ, মে মাসের তুলনায় জুনে চেকের মাধ্যমে ১৬ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।

সোনালী ব্যাংকের প্রধান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান বলেন, দেশ যে সামনের দিকে এগোচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়া মানেই সম্পদ বাড়ছে। অর্থনীতি বড় হলে ব্যাংকের লেনদেনও বাড়বে স্বাভাবিক।ৎ

আরও পড়ুনঃ  ভোটগ্রহণ চলছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে : বিদেশি পর্যবেক্ষক

তিনি বলেন, দু-এক মাসে কমলেও বছর শেষে গড় লেনদেন বাড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংক এডি রেশিও কমিয়ে আনার জন্য যে নির্দেশনা দিয়েছিল, তার প্রভাবেও লেনদেন কমতে পারে। কারণ, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বেসরকারি বেশির ভাগ ব্যাংকই ঋণ বিতরণ করতে পারেনি।

আনন্দবাজার/এম.কে

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন