ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বছরে ৭’শ কোটি টাকার মাছ সরবরাহ করে রাজশাহী জেলা

  • চাহিদা ৫২ হাজার টন
  • উৎপাদন ৮৪ হাজার টন

রাজশাহী জেলার ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে রয়েছে কয়েক হাজার পুকুর। এসব পুকুরে প্রতিবছর উৎপাদন হয় ৮৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ। তবে, রাজশাহীতে মাছের চাহিদা প্রায় ৫২ হাজার মেট্রিক টন। চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩২ হাজার মেট্রিক টন মাছ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বেশি (প্রতি কেজি মাছ ২০০ টাকা ধরে)।

রাজশাহী জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে রাজশাহীর ৯ উপজেলায় পুকুরের সংখ্যা ৫০ হাজার ৭২০। ১০ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ২০ হাজার। সূত্র মতে, জেলায় এখন ১৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে পুকুর রয়েছে, যেখান থেকে বছরে ৮৪ হাজার মেট্রিকটন মাছ উৎপাদিত হচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহীর চাহিদা ৫২ হাজার মেট্রিকটন। বাকি মাছ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। এসব মাছের বেশিরভাগ তাজা অবস্থায় পৌঁছায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

রাজশাহীর তাজা মাছের খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাজা মাছ সরবরাহেও প্রথম স্থানে এখন রাজশাহী বিভাগ। প্রতিদিন রাজশাহী জেলা থেকে ১৪০ থেকে ১৫০ ট্রাকে প্রায় ২ কোটি টাকার তাজা মাছ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন ফরমালিন মুক্ত মাছ পাচ্ছেন। রাজশাহীতেও নতুন করে তৈরি হচ্ছে বেকারদের কর্মসংস্থান।

রাজশাহী বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, তাজা মাছের বাইরে পাঠানোর উদ্যোগ প্রথমে রাজশাহী জেলা থেকে শুরু হয়। জেলার পুঠিয়া, পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর, বাগমারা, তানোর এবং নাটোর জেলার সিংড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রামের মাছ সবচেয়ে বেশি যাচ্ছে ঢাকায়। রাজশাহী জেলা থেকে প্রতিদিন ১৫০ ট্রাকে তাজা মাছ যাচ্ছে। বর্তমানে জেলার ১২ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২ লাখ ৮৮ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এখন মাছ চাষে। রাজশাহীতে মোট পুকুর রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। যেখানে মৎস্য চাষি রয়েছেন ১৯ হাজার। আর মৎস্যজীবীদের মধ্যে নতুন করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার বেকার যুবকের।

রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা বলেন, খামারি, নার্সারি ও হ্যাচারি-তিনটি পর্যায়ে রাজশাহীতে মাছচাষ করা হয়। করোনাভাইরাসের কারণে মৎস্য খাতের তিনটি পর্যায়েই ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। মাছের বাজার আরও স্বাভাবিক হলে চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন