ঢাকা | মঙ্গলবার
২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজস্ব আয়ের সমপরিমাণ অর্থ পাচার

একটি দেশের মূল চালিকাশক্তি ঐ দেশের অর্থনীতি। আর দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো অর্থ  পাচার। মূলত স্বল্পোন্নত দেশগুলো থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আঙ্কটাড) প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে যে পরিমাণ রাজস্ব আহরণ হয়, তার ৩৬ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়।

গতকাল বিশ্বব্যাপী প্রকাশ করা হয়েছে আঙ্কটাডের নিয়মিত প্রতিবেদন ‘দ্য লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিজ রিপোর্ট’। বৈদেশিক অর্থায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি এর ওপর মোট ৪৭টি দেশের নির্ভরতা, ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ ও সেক্ষেত্রে করণীয় তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। আঙ্কটাডের পক্ষে বাংলাদেশের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিডিপি) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব বাংলাদেশ আহরণ করে, তার ৩৬ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাওয়িতেও একই হারে অর্থ পাচার হচ্ছে।

প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের ৮০ শতাংশই হয় আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ফাঁকির মাধ্যমে। বাকিটা অন্যান্য খাতে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যাত্রায় বড় অংকের এ অর্থ পাচার অন্যতম বড় বাধা। এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন।

 

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন