দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে ( রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে ঝুঁকির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
ডিএসইর সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৮ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১৮ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ১১ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৯ শতাংশ।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগের জন্য পিই রেশিও এক ঘরের সংখ্যা নিরাপদ। এই নিরাপদ সংখ্যা ১৫ পর্যন্ত ধরা যেতে পারে। তবে ১৫ সংখ্যার ঊর্ধ্বে চলে গেলে বিনিয়োগে ঝুঁকির মাত্রা বাড়তে থাকে। ডিএসইর পিই রেশিও বর্তমানে ১৮ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সেই হিসেবে ডিএসইতে বিনিয়োগে ঝুঁকির মাত্রা নিরাপদ অবস্থানে এখনো আসেনি। ডিএসইতে বিনিয়োগ মাত্রা কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সূত্রমতে, সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১২ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। এছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩ দশমিক ১৪ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের ১৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ১৪ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৪ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে, ওষুধ রসায়ন খাতের ১৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২২ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে, সেবা আবাসন খাতের ২২ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৮ দশমিক ৩১ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৫ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ৫০ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫১ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৬৬ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৬১ দশমিক ৭২ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৯৫ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১৯৪ দশমিক ৯২ পয়েন্টে, পাট খাতের নেগেটিভ ৩৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের নেগেটিভ ১২৭২ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে পিই রেশিও অবস্থান করছে।
আনন্দবাজার/শহক