বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ধর্মঘটের প্রভাবে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। তবে এখনো এর কোনো প্রভাব পড়েনি রাজধানীর সবজি ও মাছের বাজারগুলোতে। এ কারণে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো এদিনও সবজি, মাছ, ও ফলের সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। তবে কাল (২১ নভেম্বর) পণ্যের মূল্য কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যাবসায়ী।
তারা বলছেন, পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ কমে যাবার একটা সম্ভাবনা আছে। ধর্মঘট শুরু হলেও নিত্যদিনের মতো সরবরাহ ছিলো তাই বাজার এখনো স্থিতিশীল। এতে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি।
কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন বলেন, ধর্মঘটের কারণে বুধবার রাতে বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাক না আসলে কমে যাবে পণ্যের সরবরাহ। এতে এসব সবজির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২০ টাকা, শসা (প্রকারভেদে) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুর ছড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে।
আকারভেদে প্রতিটি বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ৪০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, জালিকুমড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, কাঁচাবাজারের দাম সবসময় এক থাকে না। বাজারে মালামাল বেশি হলে দাম কমে, আবার ঘাটতি থাকলে দাম বেড়ে যায়। এখন শীতের প্রায় সব সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে, তাই দাম কিছুটা কম রয়েছে। তবে সংকট দেখা দিলে মূল্য বেড়ে যাবে দ্রুতই।
আনন্দবাজার/ইউএসএস