ঢাকা | মঙ্গলবার
১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়তে পারে এবার বিদ্যুতের দাম

বাড়তে-পারে-এবার-বিদ্যুতের-দাম

দেশে বেড়েছে জ্বালানি তেল, এলপিজি এবং অটোগ্যাসের দাম। এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল এবং গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেড়েছে খরচ। তাতে বাড়ছে সরকারের ভর্তুকি।

এ অবস্থায় সরকার কতটুকু ভর্তুকি দেবে আর দাম কতটুকু বাড়ানো হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আলোচনা চলছে। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পিডিবির একজন প্রকৌশলী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়বে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। চাইলে সরকার ভর্তুকি দিতে পারে, আবার দাম বাড়াতে বা সমন্বয় করতে পারে। কী করবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। তেলের দাম বাড়ার কারণে আমাদের খরচ বেড়েছে। আমরা আমাদের খরচের বিষয়ে সরকারকে নিয়মিত জানাচ্ছি। সিদ্ধান্ত এখন সরকারের।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ বছরে সরকার ১০ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এ সময়ে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বেড়েছে ১১৮ শতাংশ। খুচরা পর্যায়ে বেড়েছে ৯০ শতাংশ। দেশে সর্বশেষ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি। ওই সময় খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর আমদানিকৃত তেলের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। ডিজেলভিত্তিক এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় প্রতিদিন প্রায় ৪০ কোটি টাকার ডিজেল প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে এ কেন্দ্রগুলোয় মাসিক খরচ হচ্ছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর পাঁচ হাজার ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেও প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এর অধিকাংশই আমদানি করা তেল দ্বারা পরিচালিত।

পিডিবির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সবশেষ অর্থবছরে সরকারকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভর্তুকি দিতে হয়েছে ১১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ভর্তুকির এ পরিমাণ চলতি অর্থবছরে দাঁড়াবে দ্বিগুণ। কারণ একদিকে স্পট মার্কেট (খোলা বাজার) থেকে রেকর্ড পরিমাণ দামে এলএনজি কেনা হচ্ছে। অন্যদিকে তেল এবং কয়লার দামও বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এলএনজি আমদানিতে সরকারের যে খরচ হচ্ছে তাতে চলতি বছর জ্বালানি পণ্যটি আমদানিতে ভর্তুকি হিসেবে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। সেটি বহনের সামর্থ্য নেই বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা)। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, পেট্রোবাংলার কাছে যে উদ্বৃত্ত অর্থ ছিল, সরকার সেখান থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন