তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছে ভিয়েতনাম। শুধু ভিয়েতনাম নয়, বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের একটি শ্রেণি এখন আফ্রিকাতে বিনিয়োগ করছেন। তাই গত কয়েকবছরে দেখা যাচ্ছে এই খাতে বাংলাদেশের উত্থান চোখে পড়ার মতো।
পোশাক খাতের বড়ো রপ্তানি-কারক চীন। শ্রমিক মজুরি বেশি হওয়ার জন্য চীন থেকে উদ্যোক্তারা ভিয়েতনামে কারখানা সরিয়ে নেন। কিন্তু অবাক হওয়ার বড় বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তাও কারখানা গড়ে তুলেছেন ভিয়েতনামে। তবে তৈরি পোশাক খাতে ইথিওপিয়া অনেকের কাছে প্রথম পছন্দ।
বস্ত্রখাতের অন্যতম কাঁচামাল তুলা এবং মেশিনারিজ এর প্রায় সম্পূর্ণটা আমদানি নির্ভর হওয়ায় অনেক উদ্যোক্তা এখন বিদেশে বিনিয়োগ করার জন্য মরিয়া। যার ফলে বিরাট এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশের বস্ত্রখাত।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, বর্তমানে তৈরি পোশাকের বিশ্ববাজার ৪২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। তবে এই মার্কেটের সিংহভাগ দখল করে আছে চীন। ২০১৭ সালে মোট বাজারের প্রায় ৩৫ শতাংশ ছিলো চীনের দখলে। কিন্তু ২০১৮ সালে এসে তা সাড়ে ৩১ শতাংশে নেমে এসেছে।
সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংক প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গেছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে যাবার অন্যতম কারণ হচ্ছে পণ্য সরবরাহের সময় বেশি হওয়া। এছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার উচ্চমান এবং বাণিজ্যযুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি মোকাবিলায় চীনা উদ্যোক্তাদের কারখানা ভিয়েতনামে স্থানান্তর।
অপরদিকে, পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের পণ্য সরবরাহের সময় কম হওয়ায়, উন্নত অবকাঠামো, ভালো বন্দর সুবিধা, ফলে বিদেশি বিনিয়োগ উদ্যোক্তারা ভিয়েতনামের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ায় এ খাত বিশাল চাপের মধ্যে আছে। যে কারণে আমরা প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ মার্কিন ডলারের বিপরীতে তাদের মুদ্রার মান অবমূল্যায়ন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের টাকা এক জায়গায় পড়ে আছে।
আনন্দবাজার/এম.কে