বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়, তার বেশির ভাগই হয়ে থাকে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যের আড়ালে। আর পাচার হওয়া এ অর্থের একটি বড় অংশই জঙ্গিরা পায় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
‘ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমব্যাটিং ফিন্যান্সিং অব টেরোরিজম ২০১৯-২০২১’ শীর্ষক এ সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়ে থাকে বাণিজ্যের মাধ্যমে। আর এটি প্রতিরোধে আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে যাচ্ছি। ফলে আমদানি ও রফতানিতে আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের কোনো সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে আমদানি-রফতানিতে ৪০ শতাংশের মতো পণ্য পরীক্ষা করা হয়। আগামী ছয়-সাত মাসের মধ্যে আমরা শতভাগ পণ্য পরীক্ষা করতে পারব। এটা করতে পারলে বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ পাচার রোধ হবে।
তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থের একটি বড় অংশ সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা পায়। আর এরা বিশ্ব শান্তি নষ্টের জন্য প্রধান দায়ী। তাই আমাদের অবশ্যই অর্থ পাচার প্রতিরোধ করতে হবে। সব রাষ্ট্রের পারস্পরিক সহায়তা ছাড়া অর্থ পাচার রোধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
সেমিনারে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক বিশ্বাস করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্থ পাচার হয় বাণিজ্য কার্য প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে। প্রায় ৮০ শতাংশ অর্থ পাচার এ প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এনবিআরের দায়িত্ব রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলো, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্রে এনবিআর তেমন কিছু করেনি।
আনন্দবাজার/ইউএসএস