ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনা-১৭ জাতের ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

ময়মনসিংহে চলতি আমন মৌসুমে চাষ করা স্থানীয় জাতের ধানের শীষ এখনও বের হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত আগাম জাতের বিনা-১৭ ধান এরইমধ্যে কাটা শুরু হয়েছে। রোগবালাই সহনশীল, সার-সেচ কম ও অধিক ফলনশীল হওয়ায় এই জাতের ধান চাষে খুশি কৃষক।

ময়মনসিংহে চলতি আমন মৌসুমে চাষ করা স্থানীয় জাতের ধানের শীষ এখনও বের হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত আগাম জাতের বিনা-১৭ ধান এরইমধ্যে কাটা শুরু হয়েছে। রোগবালাই সহনশীল, সার-সেচ কম ও অধিক ফলনশীল হওয়ায় এই জাতের ধান চাষে খুশি কৃষক।

এ জাতের ধান কাটার পর বিনা সরিষা আবাদ করে একই জমিতে বোরো ফসল আবাদ করাও সম্ভব বলছেন গবেষকরা।

বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে বাতাসে দুলছে বিনা-১৭ ধান। চলতি আমন মৌসুমে রোপন করা বিনা-১৭ ধান এরইমধ্যে পেকে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ধান কাটা। উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় খুশি চাষিরা। তারা বলেন,‘বিনা ধান করেছি ফলন ভালো হয়েছে।অনান্য ধানের তুলনায় এক থেকে দেড় মাস আগেই এই ধান পাওয়া যায়।আগামীতে এই ধানের চাষ আরও বেশি করে করবো।’

বিনা-১৭ ধানে সার ও সেচ দিতে হয় কম, এছাড়া রোগবালাই সহনশীল এই ধানের রয়েছে আরও বেশকিছু গুণ। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা’র) উদ্ভাবক ও মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ‘এই ধানটি হলো পানি ও ইউরিয়া সাশ্রয়ী। এটাকে আমরা বলছি গ্রীণ সুপার রাইস। এই ধানে পোকা মাকড় ও রোগ বালাই কম হয়। প্রতি বিঘায় ২৭,২৮ এমনকি ৩০ মন পর্যন্ত ফলন দেয়।’

আমন মৌসুমে বিনা-১৭ ধান কেটে নেয়ার পর বিনা জাতের সরিষা এবং আউশ মৌসুমে বিনা-১৯ আবাদ করলে দুই ফসলি জমিতে তিন বা চারটি ফসল আবাদ সম্ভব। এমনটা বলছেন পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন