সেলাইয়ের প্রাথমিক কিছু ধারণা ও সামান্য কিছু পড়ালেখা থাকলেই গামের্ন্টস কর্মী হিসেবে জর্ডানে যেতে পারছেন বাংলাদেশি নারীরা। দেশটিতে নারী কর্মীদের বেতন মিলছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আছে বাসস্থানের সুযোগ সুবিধা।
অন্যদিকে নারী কর্মীদের নির্যাতনসহ নানা কারণে বেশ সমালোচিত সৌদি আরব। সম্প্রতিক সময়ে এই দেশ থেকে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অনেক নারী কর্মীদের নিঃস্ব হয়ে ফিরতে দেখা গেছে।
অভিবাসী নারী শ্রমিকেদের নিয়ে কাজ করা উন্নয়ন সংস্থাগুলো বলছে, সৌদি আরবে নির্যাতনসহ নানা কারণে নারীদের জন্য পোশাক শিল্প খাতে বিকল্প সম্ভবনাময় দেশ জর্ডান। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে ট্রেড ইউনিয়নও সক্রিয় রয়েছে।
২০১০ সালে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বোয়েসেল প্রথমবারের মতো পোশাক শিল্প খাতে নারী কর্মী পাঠায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানে। তাদের হিসেবে গেল অর্থবছর পর্যন্ত ৭২ হাজার নারী কর্মী গেছেন দেশটিতে। আর গেলো বছরের ডিসেম্বরেই কেবল একটি কোম্পানিতেই ১২ হাজার নারী কর্মী নেয়ার ঘোষণা আসে।
বোয়েসেল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, জর্ডানের আইন শ্রমিকবান্ধব। সেখানে তাদের থাকা, খাওয়া এবং চিকিৎসা ফ্রি হওয়ায় শ্রমিকরা সঞ্চয় করতে পারেন। বোয়েসেল বর্তমানে জর্ডানের ৩৮টি গার্মেন্টসে কর্মী সরবরাহ করছে বলেও জানান বিল্লাল হোসেন।
রাজধানীর তিনটি টিটিসিতে যাচাইবাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েই বিনাখরচে নারী কর্মীরা জর্ডান যেতে পারছেন। প্রতি শুক্রবার সেন্টারগুলোতে এ যাচাইবাছাই চলে। অভিবাসী নারীদের নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র বলছে, সৌদি আরবের বিকল্প দেশ হতে পারে জর্ডান।
বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম জানান, সেখানে কর্মরত নারীরা সৌদি আরবের তুলনায় জর্ডানের কাজের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জর্ডানের বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, কর্মীদের জন্য সেবা ও অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বাড়ানো গেলে জর্ডানে শ্রমবাজারের আরো প্রসার ঘটনো সম্ভব হবে। কর্মঠ হিসেবে বাংলাদেশি নারী কর্মীরা জর্ডানের পোশাক শিল্পে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
আনন্দবাজার/শহক