ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম

একদিকে যেমন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, এলাচসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। দামের এ ঊর্ধ্বমুখিতায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মজুদ প্রবণতাও বাড়ছে।

বাজার সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর থেকেই ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বাড়তে থাকে। বাজেটে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম এক মাসের ব্যবধানে কয়েক দফায় মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) ২০০-৩০০ টাকা বেড়ে যায়। মাঝে কয়েক মাস স্থিতিশীল থাকলেও দুই সপ্তাহ ধরে আবার বাড়তে শুরু করে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে ডলার সংকট ও বিনিময়মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ভোগ্যপণ্যের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। ব্যাংকগুলোয় ডলারের সংকট থাকায় নতুন ঋণপত্র (এলসি) খুলতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পণ্যের দামে।

চাল: একসময় দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে প্রতিদিন ১৫০-২০০ ট্রাক চাল আসত খাতুনগঞ্জে। বর্তমানে আসছে ৪০-৫০ ট্রাক। সরবরাহ সংকটে বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে চালের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সিদ্ধ চালের দাম।

ভোজ্যতেল: ভোজ্যতেলের দাম প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে। সর্বশেষ গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ পাইকারি বাজারে পাম অয়েল লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪২০ টাকায়। মূলত মিলগেট থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় বাজারমূল্য বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। এছাড়া সয়াবিন তেলের দাম ২ হাজার ৮০০ থেকে বেড়ে ৩ হাজার ২০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

চিনি: শুল্ক বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে চিনির দামও বেড়ে যায়। ওই সময়ে মণপ্রতি চিনির দাম ২০০-২৫০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায় স্থির হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম গড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে।

ডাল: সবকিছুর মতো ডালের বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মুগ ডালের দাম। আমদানীকৃত প্রতি কেজি মুগডালের দাম ১০ দিনের ব্যবধানে ৮০ থেকে বেড়ে ১১৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় মুগ ডাল কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এলাচ: গরম মসলার বাজারে ছয় মাস ধরে আলোচিত এলাচের দাম। এলাচ ছয় মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বাজারে এলাচের পাইকারি দাম বাড়তে বাড়তে গতকাল সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬০ টাকা কেজি দরে। একসময় যে পণ্যটি কেজিপ্রতি ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় লেনদেন হতো ।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন