আলু চাষের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন আলু চাষিরা। ধান কাটা সম্পূর্ণ হলেই আলুর আবাদ করবেন এ অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। তবে বেশ কিছু জায়গায় উঁচু জমিতে আগাম জাতের ধান কেটে আগাম আলু চাষ শুরু করছেন কৃষকরা।
এদিকে ধানের ন্যায্য দাম না থাকায় চিন্তায় রয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা। এ কারণে আগাম আলু চাষ করে তারা কিছুটা লাভবান হতে চান।
আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবারে আলুর ফলন বাম্পার হবে বলে জানান ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ঠাকুরগাঁওয়ের আলুচাষি জুয়েল রানা বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবারে ঠাকুরগাঁও জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হতে পারে। আমরা আর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে আগাম জাতের নতুন আলু তুলতে পারবো।
ঠাকুরগাঁওয়ের চাষী মামুন বলেন, এবারে আগাম জাতের গেনোলা আলু চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। যদি আলুর ফলন ভালো হয় তাহলে এক বিঘা জমিতে আলু বিক্রি হবে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। আমার ক্ষেতের আলু আর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে বাজারজাত করতে পারব। আগাম আলু তুলতে পারলে দাম বেশি পাব বলে আশাকরি।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলতাবুর রহমান জানান, এবারে ঠাকুরগাঁও জেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছেন কৃষকরা। তবে কিছু কিছু এলাকায় ব্যাক্টেরিয়া উইল্ট রোগ দেখা দিয়েছে।
কৃষি বিভাগ চাষিদের ম্যানকোজেফ, কারবান্ডাজিফ গ্রুপের ওষুধ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপসহকারী বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে কাজ করে যাচ্ছেন এবং কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।
আনন্দবাজার/ইউএসএস