বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চায়ের উৎপাদন বেড়েছে ৪ মিলিয়ন কেজি

করোনা ধাক্কা কাটিয়ে বাড়তে শুরু করেছে চায়ের উৎপাদন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৭ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চায়ের উৎপাদন বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন কেজি। চা বোর্ড এবং চা বাগান মালিকরা জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় চায়ের উৎপাদন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। বছর শেষে গত বছরের চেয়ে চা উৎপাদন ১০ মিলিয়ন কেজি বেশি হবে বলে ধারণা করছেন তারা।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ৭৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন কেজি। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত চা উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩৮ দশমিক ৩১ মিলিয়ন কেজি। ৭ মাসে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৫১ ভাগ চা উৎপাদন হয়েছে।

২০২০ সালের একই সময়ে চা উৎপাদন হয়েছিলো ৩৩ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন কেজি। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে চা উৎপাদন বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন কেজি।

চট্টগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ও পঞ্চগড় সহ সারাদেশে চা বাগান রয়েছে ১৬৭টি। এছাড়া উত্তরবঙ্গ এবং বান্দারবানে চা চাষের সাথে সম্পৃক্ত আছে আরো ৫ হাজার ক্ষুদ্র চাষী। সারা বাংলাদেশে এই খাতে মোট ৩ লক্ষাধিক শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে।

চা বাগান মালিকরা জানিয়েছেন, গত বছর করোনার লকডাউন দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় চায়ের চাহিদা কমে যায়। আর্থিক সংকটে পড়ে বাগান মালিকরা। গত বছরের এপ্রিল থেকে চা বাগান মালিকদের ওয়্যার হাউসে জমতে থাকে উৎপাদিত চা। তাছাড়া ২০১৯ সালে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদিত হওয়ায় সে চাও অবিক্রিত থেকে যায় বাগান মালিকদের কাছে। নিলামে বাগান মালিকরা চায়ের উৎপাদন মূল্যের চেয়েও কম দামে চা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ফলে চরম মূলধন সংকটে পড়তে হয়েছে তাদের। ওই সময়ে বাগান মালিকরা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে আর্থিক সংকটে পড়ে। বাগান রক্ষণাবেক্ষণ সঠিকভাবে করতে না পারার কারণেও উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিলো।

আরও পড়ুনঃ  ‘বাংলাদেশকে তুলে ধরতে জনকূটনীতিতে জোর দেয়া হচ্ছে’

চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে চা উৎপাদন হয়েছিলো ৯৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন কেজি। কিন্তু করোনার প্রভাব, খরা, অতিবৃষ্টি এবং পোকার আক্রমণ সহ নানা কারণে ২০২০ সালে চায়ের উৎপাদন কমে যায়। ২০২০ সালে চায়ের উৎপাদন হয়েছিলো ৮৬ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন কেজি। ২০২১ সালে এসে আবারো বাড়তে শুরু করেছে চায়ের উৎপাদন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন