শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ !

২০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ !  

রাজধানীর বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২০০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ১০০ টাকার বেশি। কারওয়ানবাজারে কেজিতে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। হাতিরপুল, পলাশীসহ বেশিরভাগ বাজারে মিলছে কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।

হঠাৎ করে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন সীমিত আয়ের মানুষ। রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফরিদুল বলেন, দুই সপ্তাহ আগে ৩০ টাকা কেজি কাঁচামরিচ কিনেছি, এখন সেই কাঁচামরিচের দাম ২০০ টাকার উপরে। বাধ্য হয়ে প্রয়োজনের চেয়ে কম কিনতে হচ্ছে।

আর বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ভারত থেকে বেশি দামে মরিচ আমদানি করায় দাম বাড়ছে। বর্ষার কারণে আগের মরিচগাছগুলো তুলে নতুন করে লাগানোর অপেক্ষায় রয়েছে কৃষক। এতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।

এদিকে, এখনও কমেনি চালের দাম। বাজার সহনীয় রাখতে চালের আমদানি বাড়াতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। শুক্রবার ছুটির দিনে রাজধানীর কাঁচাবাজারে ক্রেতা সমাগম ছিল কিছুটা কম। আর বাজারে যে সকল ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেখা গেছে তাদের মধ্যে দেখা গিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনীহা।

এদিকে, বাজারে এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। মোটা চাল কেজিতে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। আর মিনিকেট নামের সরু চালের কিনতে হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার চালের আমদানি শুল্ক সাড়ে ৬২ শতাংশ থেকে ২৫ ভাগ করেছে সরকার। খাদ্য সচিবের দাবি, এতে কমবে চালের দাম।

আরও পড়ুনঃ  চিকিৎসা নিতে সংক্রমণ ঝুঁকি

মরিচের দাম বাড়লেও সবজির দামে এখনও কিছুটা স্বস্তি রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস, কাঁচকলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হালি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা আঁটি।

অবশ্য টমেটো ও গাজরের দাম অবশ্য বেশি, বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি দরে।

খুচরা বাজারগুলোতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। পণ্য দুটি কয়েক মাস ধরেই এই দামে বিক্রি হচ্ছে।

অন্য মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে আদা ও রসুনের দাম ঈদ শেষে কিছুটা কমেছে। ঈদুল আজহার আগে চায়না আদা ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এই আদা খুচরা পর্যায়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। দেশি ও কেরালার আদা বিক্রি হচ্ছে কিছুটা কমে, ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। রসুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।

এদিকে গরুর মাংসের দাম আগের মতোই ৬০০ টাকা কেজি। ডিমের দামও আগের মতোই। ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। মুরগী ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন