বিশেষ সুযোগ পেয়ে হিড়িক পড়েছে কালো টাকা সাদা করায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের হিসাবে, এই অর্থবছরের ১০ মাসে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা বৈধ করা হয়েছে। এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, আগামী অর্থবছরে বিশেষ সুযোগ না থাকলেও কালো টাকা সাদা করা যাবে।
নানা সমালোচনার মুখেও ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। শুধু সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ছাড়া ততটা সাড়া মেলেনি। করোনায় অর্থনীতির ক্ষতি বিবেচনায় চলতি অর্থবছরও অবৈধ সম্পদ ১০ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেয় সরকার। বিধান করা হয়, এই সম্পদ নিয়ে কোনো সংস্থাই প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ সুযোগ নিয়েছেন ১০ হাজার ৪শর বেশি নাগরিক। বৈধ হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা সমমূল্যের অর্থ-সম্পদ। আর এতে সরকার রাজস্ব পায় সাড়ে ১৪শ কোটি টাকা। এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, এ সুযোগ পাওয়া যাবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
আগামী বাজেটে বিশেষ সুযোগের পক্ষে প্রস্তাব দিচ্ছে না অর্থমন্ত্রণালয়। তবে আগের নিয়মে কালো টাকা করার সুযোগ থাকছেই। ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থে ফ্ল্যাট কেনা যাবে। একই শর্তে অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেকপার্ক ও ইনফ্রাসট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ডের বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে।
সীমিত আকারেও কালো টাকা সাদা করার পক্ষে নন ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলছেন, এ সুযোগ দেয়া হলে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির টাকাও অনেকে বৈধ করবেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে অনেকেই কর দেয়ায় উৎসাহিত হবেন না।
আনন্দবাজার/শহক