ঈদ সামনে রেখে আবার অস্থিতিশীল বাজার। দাম বেড়েছে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, মসলা আর মুরগির। বিক্রি বেড়েছে পোলাও-এর চাল, সেমাইয়ের। এসবের দামও গত বছরের তুলনায় বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। দাম বাড়ার জন্য চাহিদা বৃদ্ধি আর সরবরাহ সংকটের অজুহাত দিচ্ছেন বিক্রেতারা।
নানা চেষ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না ভোজ্যতেলের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারে ৫ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন আর পাম অয়েল। মসুর ডাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে চার টাকা আর খোলা চিনি কেজিতে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতো ১৩০ টাকায়। দাম বেড়ে এখন ১৬০ টাকা। একইভাবে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সোনালি আর দেশি মুরগির দাম। লকডাউনের কারণে হোটেল-রেস্তোরাঁয় চাহিদা কমায় বিভিন্ন ধরনের মসলার দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে এলেও, ঈদকে সামনে রেখে আবারও বেড়েছে। এলাচি, জিরা, দারুচিনি ও লবঙ্গসহ বিভিন্ন ধরনের মসলার মানভেদে দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
ঈদ এলেই বাড়ে সেমাই আর পোলাও-এর চালের চাহিদা। এসবের দামও তুলনামূলক বেশি বলে জানান ক্রেতারা। উৎসবকে কেন্দ্র করে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়া নিয়ন্ত্রণে সরকারের তদারকির দাবিও জানান তারা।
এদিকে বাজারে সবজির সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও দাম চড়া। কেজিতে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। লকডাউনের কারণে বাড়তি পরিবহন খরচ এর কারণ, বলছেন বিক্রেতারা।
আনন্দবাজার/শহক