গত ৯ বছরে ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। গত ৯ বছরে শুধু আয়কর মেলা থেকে আদায় করা রাজস্বের পরিমাণই এই মাইলফলক তৈরি করেছে।
২০১০ সালে প্রথম আয়কর মেলা শুরু হওয়ার পর এনবিআরের রাজস্ব আদায় ছিল ১১৩ কোটি টাকা। তারপর ২০১১ সালে ৪১৪ কোটি টাকা, ২০১২ সালে ৮৩১ কোটি টাকা এবং ২০১৩ সালে আদায় হয় ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। এরপর ২০১৪ সালের মেলা থেকে এক হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৩৫ কোটি টাকা এবং ২০১৬ সালে ২ হাজার ১২৯ কোটি টাকা আদায় করে এনবিআর। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ২ হাজার ২১৭ কোটি টাকা এবং ২০১৮ সালে ২ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা আদায় হয়। অর্থাৎ গত ৯ বছরের মেলায় রাজস্ব আদায়ের হিসেব মিলিয়ে ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ আদায় করেছে এনবিআর।
এনবিআর জানিয়েছে, মেলায় কর আদায়ের পাশাপাশি রিটার্ন দাখিলের সংখ্যাও বেড়েছে। ২০১০ সালে আয়কর মেলায় মাত্র ৫২ হাজার ৫৪৪ জন রিটার্ন দাখিল করেছিল। ২০১৮ তে সেটা বেড়ে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া ২০১৮ সালে আয়কর মেলায় ইটিআইএন ইস্যু হয়েছে ৪৫ হাজার ৪৩৭ জনের নামে। ২০১৭ তে যে সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার। গত ৯ বছরে শুধু মেলা থেকেই ২ লাখ ৭২ হাজার ১৪৮ জনের নামে নতুন টিআইএন বা ইটিআইএন ইস্যু হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাঙালি জাতির উৎসবমুখী চিরায়ত সামাজিক জীবনের সঙ্গে মিশে আছে আয়কর মেলা। করদাতারা এই মেলায় এসে উৎসবের আমেজে আয়কর দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আয়কর মেলার কারণে করদাতাদের মধ্যে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ বেড়েছে। অনেকেই এখন স্বেচ্ছায় আয়কর দিতে আসছেন। কর সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও ভয়ভীতি অনেক ক্ষেত্রে কেটে গেছে। এভাবে প্রতি বছর মেলা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে অস্পষ্টতা ও ভয়-ভীতি একেবারেই থাকবে না।
করসেবা সহজ করতে এবং করসেবা করদাতার কাছে পৌঁছে দিতে নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করেছে এনবিআর। ‘www.aykormela.gov.bd’ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করদাতাদের ‘ওয়ান স্টপ’ সার্ভিস দেয়া হবে।
এনবিআর সদস্য কালিপদ হালদার বলেন, মানুষ যাতে করসেবা সহজে নিতে পারে, সে জন্যই ওয়েবসাইটটি চালু করা হয়েছে। এবারের মেলায় এটি একটি আকর্ষণ ছিল।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস