ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ।সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা নিহতদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করার পর স্থানীয় বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখে। এরপর তাদের স্বজনদের খবর দেয়া হচ্ছে মরদেহ নেয়ার জন্য।
মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন কারও বাবা, মা, ভাই ও বোন। এখন পর্যন্ত ১০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটে এসে বাবা-মায়ের মরদেহ দেখে কেঁদে ওঠেন কাউসার। এরপর তিনি বলেন, বাবা (মুজিবুর রহমান) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে খাতা-কলম ফেরি করে বিক্রি করতেন। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে (চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও এলাকায়) বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু বাড়িতে আর ফেরা হলো না আমি এখন এতিম হয়ে গেলাম।
উদয়ন ট্রেনের যাত্রী শামীম হোসেন জানান, ভাই (আল-আমিন) এবং মামা (মনু মিয়াকে) নিয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন থেকে উদয়নে উঠে ছিলাম। ট্রেনে আসন না পাওয়ায় বগির দুই দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। হুট করে বিকট শব্দ হলে মামাকে নিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়ে যাই।
তিনি আরো বলেন, এরপর আমরা ভাই কে খুঁজতে থাকি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ট্রেনের চাকার নিচ থেকে তার মরদেহ বের করি। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এখন তাকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।
আনন্দবাজার/এম.কে