টানা কয়েক সপ্তাহ যাবৎ রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের ৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে আসা দাম আজ থেকে কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
জানা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দু’দিনেই কেজিতে দাম কমেছে ৩ থেকে ৫ টাকা। পাইকারদের দাবি, মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ কমে আসায় বেড়েছে দাম। দেশি রাখি পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম কমার আশা তাদের। এদিকে খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, রমজান সামনে রেখে নানা অজুহাতে আগেভাগে দাম বাড়ানো হচ্ছে।
কখনো সরবরাহ ঘাটতি কখনো ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তের মতো নানা সংকটকে পুঁজি করে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে যখন তখন লাগামহীনভাবে বাড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ ভোগ্য পণ্যের দাম। ঘাটতি নিরসনে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের ব্যাপক আবাদের পাশাপাশি চীন, তুরস্ক ও মিশর থেকে আমদানিতে গত নভেম্বর থেকে বাজার স্থিতিশীল হয়। দাম কমে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় ঠেকে। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ করে ঝাঁজ বাড়ে পেঁয়াজের। দাম বেড়ে পাইকারিতে প্রতি কেজি ৪৬ থেকে ৪৮ ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করা হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। আড়তদারদের দাবি, মুড়িকাটার মৌসুম শেষ হলেও রাখি পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে না আসাই দাম বাড়ার কারণ।
এদিকে এক মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ভারতীয় পেয়াঁজ আমদানি শুরু হওয়ায় দাম পড়ছে। শ্যামবাজারে পাইকারি আড়তে ৩ থেকে ৫ টাকা কমে প্রতি কেজি দেশি পেয়াঁজ ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা এবং কারওয়ান বাজারে ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রাখি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম আরো কমার প্রত্যাশা পাইকারি বিক্রেতাদের।
এক ব্যবসায়ী বলেন, সপ্তাহে ১০ টাকা বেড়ে গিয়েছিল এখন ভারতীয় পেঁয়াজ এসে গেছে, শুক্রবার (১২ মার্চ) থেকে ৫ টাকা কম, এখন কমার সম্ভাবনা বেশি।
যদিও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মোকামে পেঁয়াজের কমতি না থাকলেও নানা অজুহাতে দাম বাড়ানো হয়।
খুচরা বিক্রেতারা বলেন, পাইকারি বিক্রেতা ইচ্ছামতো দাম বাড়াতে পারেন। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ চহিদা মেটানো হয় আমদানি করে। যার সিংহভাগ আসে ভারত থেকে।
আনন্দবাজার/শহক