ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড় বিনিয়োগের অপেক্ষায় ডিজিটাল স্টার্টআপ

দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিভিত্তিক (আইসিটি) ব্যবসার দ্রুত গতিতে সম্প্রসারণ ঘটছে। দেশে গত পাঁচ বছরে নতুন নতুন অনেক ডিজিটাল স্টার্টআপ তৈরি হয়েছে। এসব ডিজিটাল স্টার্টআপের অনেকেই প্রাথমিক মূলধন পেলেও পরবর্তী ধাপে উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় বড় ধরনের বিনিয়োগের ঘাটতিতে রয়েছে ।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা ইউএসএআইডির পর্যবেক্ষণও উঠে এসেছে, ডিজিটাল স্টার্টআপে বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বাড়লেও এখনো তা পর্যাপ্ত নয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য । বাংলাদেশে সফটওয়্যার ডেভেলপার রয়েছে ৪৫ হাজারের মতো , যা দেশের বাজারে অত্যন্ত সীমিত। এক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়াতে গুরুত্ব দিতে হবে। স্টার্টআপ থেকে প্রতিষ্ঠিত ও তালিকাভুক্ত কোম্পানি হওয়ার পথে যে ধাপগুলো আছে, সেখানে অর্থায়নের সুযোগও কম। প্রাথমিক মূলধন পাওয়া গেলেও পরবর্তী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বড় ধরনের শূন্যতা আছে।

ডিজিটাল স্টার্টআপগুলোকে সহায্য দিতে এরই মাঝে বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে । সেগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ, তরু, স্কেলআপ বাংলাদেশ, ওয়াইগ্যাপ অস্ট্রেলিয়া, ইএমকে, জিপি অ্যাকসেলারেটর, বাংলালিংক ইনকিউবেটর ও আর-ভেঞ্চার। স্টার্টআপের জন্য অফিস স্পেস, মেন্টরসহ অন্যান্য অনেক ধরনের সহায়তা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনকি কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপের জন্য প্রাথমিক বিনিয়োগেরও জোগান দিচ্ছে। ইএমকে প্রাথমিক বিনিয়োগ হিসেবে ৪-৫ লাখ ও ওয়াইগ্যাপ অস্ট্রেলিয়া ৪০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থায়ন করছে। আর এ খাতের নতুন উদ্যোক্তাদের স্টার্টআপ বাংলাদেশ ১০ লাখ ও তরু ১০ লাখ টাকা অনুদান দেয়।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এটি কার্নির তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি ও সফটওয়্যার খাত প্রতি বছরে ৫০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ৭০ হাজারের বেশি নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে । ডিজিটাল স্টার্টআপগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ পেয়েছে । এ বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮ কোটি ডলারেরও বেশি। এর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিনিয়োগও রয়েছে।

ইউএসএআইডির পর্যবেক্ষণ বলছে, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি দেশের অর্থনৈতিক সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পারে। এটি একই সঙ্গে নতুন ধরনের বিনিয়োগকে যেমন আকৃষ্ট করতে পারে, তেমনি তরুণ প্রজন্মের মেধা কাজে লাগানোর ক্ষেত্র তৈরি করে। নতুন প্রযুক্তি ও ব্যবসার মধ্যে যোগসূত্র তৈরিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এ-সংক্রান্ত গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে এক্ষেত্রে।

আনন্দবজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন