ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রকে টপকিয়ে ইইউর বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার চীন

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে ইউরোপের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হয়েছে চীন। কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ইউরোপের প্রধান কয়েকটি অর্থনীতির সঙ্গে বাণিজ্য সংকোচন হলেও সার্বিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বেড়েছে। গত বছর উভয় পক্ষের মধ্যে বৈদেশিক বাণিজ্য হয়েছে ৭০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইইউর বৈদেশিক বাণিজ্য ৬৭ হাজার ১০০ কোটি ডলার। খবর বিবিসি ও সিএনবিসি।

করোনা মহামারীর কারণে গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে বড় আকারের সংকোচন হলেও দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায় চীনের অর্থনীতি। দ্বিতীয়ার্ধে চাঙ্গা অর্থনীতির কারণে ইউরোপীয় পণ্যের চাহিদা বেড়েছে চীনে। গত বছর প্রবৃদ্ধি অর্জন করা একমাত্র প্রধান অর্থনীতি চীনে ইউরোপীয় গাড়ি ও বিলাসবহুল পণ্যের চাহিদা বেড়েছিল। এছাড়া চিকিৎসা পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিতে ইউরোপে রফতানি বেড়েছে চীনের।

ইইউর পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্টেট বলছে, ২০২০ সালে ইউরোপের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ছিল চীন। আমদানি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং রফতানি ২ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধির জেরে যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে ইইউর প্রধান বাণিজ্য অংশীদার হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন।

চীনে ইইউর রফতানি ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ১০ হাজার ২৫০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে চীন থেকে আমদানি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার।

আইএনজি জার্মানির অর্থনীতিবিদ কারস্টেন ব্রজেস্কি গতকাল সিএনবিসিকে জানান, চীনের সঙ্গে ইইউর শক্তিশালী বৈদেশিক বাণিজ্যের কারণ হচ্ছে অঞ্চলটির মহামারী থেকে শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো। ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রধান অর্থনীতিগুলো যখন মন্দায় ধুঁকছে, তখন প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে চীন, ভিয়েতনামসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি অর্থনীতি।

ইউরোস্টেটের প্রতিবেদনটি গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত চীনের উপাত্তের প্রায় কাছাকাছি। গত মাসে চীন প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক উপাত্তে বলা হয়, ২০২০ সালে ইইউ-চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৬৯ হাজার ৬৪০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

গত সোমবার প্রকাশিত ইউরোস্টেটের উপাত্তে দেখা গেছে, চীনের সঙ্গে ইইউর বাণিজ্য ঘাটতি ১৯ হাজার ৯০০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন