রাজধানীতে অস্থির হয়ে উঠেছে মুরগির বাজার। পলাশী বাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩০ থেকে ১০০ টাকা বেশিতে। এক সপ্তাহ আগে এক কেজি ব্রয়লার ৩০ টাকায় বিক্রি হলে বতর্মান মূল্য ১৩০ টাকা। সোনালি মুরগি ৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, যা ১৫ দিন আগেও দাম ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। লেয়ার মুরগি ১৮০ টাকা দাম থাকলেও এখন কেজিতে দাম বেড়েছে ৩০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি। দেশি মুরগির দাম আগে ছিল ৩৫০ টাকা কেজি, এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়।
এক বিক্রেতা জানান, সব মুরগির দাম বেড়েছে। করোনার কারণে দেশের সব জায়গায় খামারের সংখ্যা কমেছে। অন্যদিকে শীতের প্রকোপে মুরগি মারা যাওয়ায় উৎপাদন হওয়ায় দাম বাড়ছে মুরগির। তবে শীত শেষ হলেই আবার খামারিরা খামার চালু করলেই স্বাভাবিক হবে দাম। তবে সময় লাগবে আরো দুই মাস। তবে ক্রেতারা বলছেন, শুধু মুরগি না সবজি ছাড়া সব ধরনের পণ্যেই দাম বেড়েছে।
অন্যদিকে গরু ও খাসির মাংসের বাজারে স্বস্তিদায়ক অবস্থা। বাজারে কয়েক মাস ধরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা কেজিতে ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে।
মাছের বাজার কিছুটা স্বস্তি। বড় মাছের সরবরাহে কমতি নেই। তাই তুলনামূলক দামও কম। চার কেজি ওজনের রই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি, আইড় প্রতি কেজি ৭০০-৮০০ টাকা, কই ২০০ টাকা, শিং ও মাগুর ৬০০-৭০০ টাকা, চিতল ৬৫০ টাকা কেজি। তবে কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেড়েছে খালবিল ও নদীর মাছের। সরবরাহ কমে যাওয়ায় এসব মাছের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানান মাছ বিক্রেতারা।
এদিকে শীত মৌসুম শেষের দিকে হলেও পর্যাপ্ত রয়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। বিক্রি কমে যাওয়ায় দামও স্থিতিশীল বলে জানান সবজি বিক্রেতারা। বর্তমানে এক কেজি বেগুন ৪০, শিম ৩০-৪০ টাকা, টমেটো-৩০-৪০ টাকা, শসা-৪০, করোলা ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গ্রাষ্মকালীন আগাম পোটল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে।
আনন্দবাজার/শহক