রাজধানীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে উদ্বোধন করা হয়েছে করোনার টিকাদান কর্মসূচির। আজ রোববার সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা বছর ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলবে। এই ভ্যাকসিন সবচেয়ে নিরাপদ। ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো সমালোচনা নয়, প্রথমে মন্ত্রী ও ভিআইপিদের নেওয়ার মাধ্যমে আস্থা বাড়বে। ভ্যাকসিন কার্যক্রমে দিনের বিভিন্ন সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব টিকা নেবেন।
তিনি বলেন, দেশের সকল জেলার সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়েছি। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ আছেন। তাদের সঙ্গে আমরা ভ্যাকসিন নিব। এটা নিয়ে যেন কোন রকমের রিউমার না হয়। এই ভ্যাকসিন খুবই নিরাপদ, যতগুলা ভ্যাকসিন আছে তাদের ভেতর এটা সবচেয়ে নিরাপদ। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। আমরা হাজার হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেব, লাখও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জানিয়েছেন, টিকা নিতে ইতোমধ্যে তিন লাখ ২৮ হাজার জন নিবন্ধন করেছেন। টিকার কর্মসূচি সফল করতে সব প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেই এই কর্মসূচি শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বমোট এক হাজার ১৫টি হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ২ হাজার ৪০২টি দল টিকাদানে নিয়োজিত থাকবে। এদিন সকাল ৯টা থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। ঢাকায় ৬৫টি স্থানে টিকাদান হবে। সেখানে কাজ করবে স্বাস্থ্যকর্মীদের ২০৬টি দল।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস