ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোরো রোপণে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা মোট ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। উপজেলায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ সরাসরি কৃষি ও কৃষি কাজের সাথে জরিত। উপজেলার সব গুলো ইউনিয়নের কৃষকদের নিকট ঘুরে জানা যায়, গত রোপা আমন মৌসুমে ১হাজার থেকে ১২শত টাকা পর্যন্ত খোলা বাজারে ধান বিক্রয় করেছেন। ধানের ন্যায্য মূল্য পেয়ে চলতি বোরো মৌসুমে অতিরিক্ত বা পরিত্যক্ত জমিতেও ধান রোপন করছেন উপজেলার স্থানীয় কৃষক পরিবার।

গত মৌসুমে ধানের এ ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষক এ বছর যে পরিত্যক্ত জমিতে ধান রোপন করছেন তার জন্য অতিরিক্ত দিনমজুরের প্রয়োজন হচ্ছে বলে জানান উপজেলা গৃহস্ত কৃষক পরিবারের সন্তান স্বপ্ন নিয়ে পথ চলা সংগঠনের উদ্যোগতা এস, এম বাহাদুর আলী। এই গৃহস্তের বাড়িতে কাজ করা দিনমজুর উপজেলার ধানগড়া গ্রামের ক্ষদ্র সত্তা গ্রামের ইসমাইল শেখ, ওমর আলী, ইউসুফ আলী, আনোয়র হোসেন, ফজল আলী দিনমজুররা বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা তেমন কাজ কর্ম পাইনি।

গত মৌসুমে উপজেলার কৃষরা ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় চলতি মৌসুমে পরিত্যক্ত জমিতেও ধান রোপন করছেন তাই বলতে গেলে বর্তমানে গৃহস্তের বাড়িতে ধান রোপন করতে আমরা ব্যাস্ত সময় পার করছি। প্রতিদিন কতো টাকা মুজুরি পান তা জানতে দৈনিক আজকের সিরাজগঞ্জ পত্রিকার প্রতিবেদক সাইদুল ইসলাম আবির কে জানান, আমরা এখন গৃহস্তের বাড়িতে কাজ করে প্রতিদিন গড়ে ৩’শ টাকা থেকে ৪’শ টাকা দিনহাজিরা পাচ্ছি।যা পাচ্ছি তা দিয়ে কোন রকম সংসার পরিচালনা করছি।

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব শহিদুল ইসলাম জানান, গত মৌসুমে কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য পেয়ে এবছর উপজেলার কৃষকরা তাদের পতিত বা পরিত্যক্ত জমিতেও ধান রোপন করছেন। আমরা সব সময় কৃষকের পাশে থেকে সহযোগিতা করছি।

আনন্দবাজার/শাহী/ আবির

সংবাদটি শেয়ার করুন