সব প্রক্রিয়া শেষে আগামী চার-পাঁচদিনের মধ্যে দেশের সব জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন এমপি। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা চুক্তির তিন কোটি টিকার প্রথম চালান ৫০ লাখ ডোজ বিমানবন্দরে গ্রহণকালে এ তথ্য জানান পাপন।
সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভারতের পুনে থেকে দিল্লি হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় ভ্যাকসিনের চালান।
এসময় পাপন বলেন, প্রতিটি ভ্যাকসিনের স্যাম্পল আমরা ওষুধ প্রশাসনের ল্যাবরেটরিতে পাঠাবো টেস্ট করার জন্য। তারা ছাড়পত্র দিলে প্রতিটি জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবো। ধারণা করছি, ৪৮ ঘণ্টা পর থেকে অথবা চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে আমরা এ ভ্যাকসিনগুলো দেশের সব জেলায় পৌঁছে দিতে পারবো।
তিনি বলেন, আমরা প্রমাণ করতে চাই, ভারতের মুম্বাই থেকে ভ্যাকসিন ঢাকায় এসেছে, বিমানবন্দর থেকে বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে (গুদামে) নেওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রতিটি ভ্যাকসিন চেক করে দেখা হবে। কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে বা ডেমেজ, শর্টেজসহ কোনো রকমের সমস্যা থাকলে, সেগুলো বেক্সিমকো ফার্মা নিয়ে যাবে। সেগুলোর দায় বেক্সিমকোর। সরকারকে আমরা নিখুঁত ভ্যাকসিন দেবো।
এখন থেকে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বেক্সিমকোর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসবে জানিয়ে পাপন বলেন, এ ভ্যাকসিন পরিবহনের জন্য আমরা বিশেষ ফ্রিজার কাভার্ড ভ্যান কিনেছি। যা আমাদের আগে ছিল না। আজ নয়টি কাভার্ড ভ্যানে ভ্যাকসিন বহন করা হচ্ছে। আগামী মার্চ মাসে আরো ভ্যান আসবে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস