বাংলাদেশে নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু হল পদ্মা সেতু। উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। মূলত, ৩০ ডিসেম্বর প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল।
তবে বহুল আলোচিত এ পদ্মা সেতু প্রকল্পের সাত শর্তে দেড় বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পযর্ন্ত করার অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সুপারিশ এবং সেতু বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এ সংশোধনী অনুমোদন দিয়েছে । গত ৩ নভেম্বর অনুমোদন সংক্রান্ত চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ৬ অক্টোবর আইএমইডির পক্ষ থেকে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া দেড় বছর মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করে। সংস্থাটি প্রকল্পটি সরেজমিন পরিদর্শন করে এ সুপারিশ দেয়। এরপর ২২ অক্টোবর সেতু বিভাগ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ পর্যায়ে দেড় বছর মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। তবে পরবর্তীতে ব্যয়ও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ থেকে যে ৭টি শর্ত দেয়া হয়েছে সেগুলো হল- প্রকল্পের অঙ্গভিত্তিক অগ্রগতি ও যথাসময়ে বাস্তবায়ন সংক্রান্ত ওয়ার্ক প্ল্যান প্রস্তুত করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে দ্রুত সময়ে আইএমইডিতে পাঠাতে হবে। এছাড়া প্রকল্পের অর্থ ব্যয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়ায় প্রকৃত ব্যয়ের চিত্র তথ্য-উপাত্তসহ আইএমইডিতে পাঠাতে হবে।
বর্ধিত সময়ে কার্যক্রম সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া এক অংশের অর্থ অন্য অংশে ব্যয় করা যাবে না। পরবর্তীতে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সময়কাল আর বৃদ্ধির অবকাশ থাকবে না। ফলে বর্ধিত মেয়াদকালে প্রকল্পটি শেষ করার জন্য বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিবিড় মনিটরিং করবে।
প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কিত মাসিক এবং ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অবশ্যই আইএমইডিকে জানাতে হবে। আইএমইডির সমাপ্ত মূল্যায়নের জন্য প্রকল্পটি শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই নির্ভুল তথ্য সংবলিত প্রকল্প সমাপ্তি প্রতিবেদন (পিসিআর) জমা দিতে হবে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস