কৃষি ঋণ বিতরণের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় খানিকটা পিছিয়ে আছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) কৃষি ঋণ বিতরণের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় খানিকটা পিছিয়ে আছে। পাঁচ মাসে লক্ষ্যমাত্রার এক তৃতীয়াংশের মতো কৃষি ঋণ বিতরণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি অর্থবছরে কৃষি ঋণের বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা ২৬,২৯২ কোটি টাকা। জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিতরণ হয়েছে ৮,৯৩৫ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৩৩.৯৮ শতাংশ। আগের অর্থবছরে ৫ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৩৪.৪২ শতাংশ ঋণ বিতরণ হয়েছিল।
জুলাই-নভেম্বরে বিতরণ করা কৃষিঋণের মধ্যে শস্যখাতে ৪,৭৭২ কোটি টাকা, সেচযন্ত্র কেনায় ৮৮ কোটি টাকা, প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রি খাতে ১,৩৪৭ কোটি টাকা এবং মৎসখাতে ৯৭৯ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন চলমান থাকায় গেল বছরের তুলনায় জুলাই-নভেম্বরে ঋণ বিতরণ বেড়েছে। অন্যদিকে বন্যায় কৃষি উৎপাদন এবং কোভিডের কারণে কৃষি পণ্য সরবরাহ, মজুদ, প্রক্রিয়াজতকরণ ব্যহত হওয়ায় গেল বছরের তুলনায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কৃষি ঋণ বিতরণ হার কিছুটা কম।
তবে বন্যা পরবর্তী জমির উর্বরতা বৃদ্ধি, কৃষি পণ্যের সরবরাহ ঘাটতি থাকায় বাড়তি দাম পাওয়া এবং কৃষি উৎপাদনে কোভিডের প্রভাব না থাকায় আগামী দিনগুলোতে কৃষক উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহী হবেন। এতে ঋণের চাহিদাও বাড়বে বলে মনে করেন গোলাম মোয়াজ্জেম।
কৃষি ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় এক তৃতীয়াংশ বিতরণ করবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে ব্যাংক দুটো ৭,৮৫০ কোটি টাকা বিতরণ করবে। জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত তারা বিতরণ করতে পেরেছে মাত্র ২,৯২১ কোটি টাকা, যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ শতাংশ।
নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক দুটির ঋণ আদায় হার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ২২.৫ ভাগ।
আনন্দবাজার/শহক