এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে চালের দাম বেড়েছে বস্তা প্রতি ২০০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত। পাইকাররা অভিযোগ করছেন, অর্ডারের টাকা নিয়েও চাল দিচ্ছে না মিলাররা। এ পরিস্থিতিতে শুল্ক তুলে দিয়ে আমদানি উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মিলমালিকদের সাথে বারবার বৈঠক করেও কোন সুফল পায়নি সরকার। চালের দর বেঁধে দিয়েও বাজারে তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। পাইকারিতে সরকারের বেঁধে দেয়া ৫১ টাকা ৫০ পয়সার প্রতিকেজি সরু চালের দর ওঠে ৫৫ টাকা আর ৪৫ টাকা কেজির মাঝারি চালের দর ওঠে ৪৯ টাকা। মিল মালিকদের লাগাম টানতে ব্যর্থ হওয়ায় আমনের ভরা মৌসুমে আমদানির চিন্তা করছে সরকার।
এক ব্যবসায়ী জানান, ২৯৫০-৩০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত চালের দাম উঠেছে। তারপরও বেচা-বিক্রি তো করতে হবে। তাই চাল ক্রয়ের জন্য অর্ডার করেছি। কিন্তু ১৫ দিন চলে গেছে, এখনও আমাদের কোন চাল দেওয়া হয়নি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৫ টাকার মিনিকেট চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকায়। আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায় এব মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়। দাম বাড়াতে মিল মালিকরা নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছেন বলে অভিযোগ পাইকারদের।
পাইকারী ব্যবসায়ী একজন বলেন, মিলে যদি চালের বস্তা দুদিন পরে থাকে। তাহলে তো ১০০ টাকা দাম বাড়বে। তাই মিল মালিকরা আমাদের কাছে কম চাল সরবরাহ করছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে এক লাখ টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে আসবে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস