ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক সপ্তাহে ৪ টাকা বেড়েছে চালের দাম

রাজধানীর বাজারে খুচরাতে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৪ টাকা পর্যন্ত। এতে আগের সপ্তাহ মিলিয়ে কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৮ টাকা পর্যন্ত।

ব্যবসায়ীরা জানান, অনেক হাসকি মিল বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে বাজারে চালের সরবরাহ কমেছে। এছাড়া ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। চালের এই দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের উচিৎ শিগগিরই মিল মালিকদের সঙ্গে বসে একটা দাম নির্ধারণ করে দেয়া। সেই সঙ্গে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা। দ্রুত এসব পদক্ষেপ না নিলে চালের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার খুচরা বাজারে বর্তমানে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায়, এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৫৮ থেকে ৬২ টাকার মধ্যে।অপরদিকে, মাঝারি মানের চাল দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা হয়েছে যা ছিল ৫০ থেকে ৫২ টাকা। আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৬ টাকা কেজি।

চালের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে মিনিকেট ও নাজির বা সরু চালের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের দাম বেড়েছে দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর মোটা বা স্বর্ণা ও চায়না ইরি চালের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ।

খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে খিলগাঁও তালতলার ব্যবসায়ী জানে আলম ভূঁইয়া বলেন, রশিদের মিনিকেট ২৫ কেজির বস্তা আগে বিক্রি করতাম ১৪০০ টাকা। এখন সেই চাল বিক্রি করছি ১৬০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা। দুই সপ্তাহের মধ্যে দুই ধাপে এই দাম বেড়েছে। আর রশিদের চালের দাম বাড়ার কারণে অন্যরাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বাবুবাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের দাম আমরা বাড়াই না। মিল মালিকরা চালের দাম বাড়ালে আমরা দাম বাড়াতে বাধ্য হই। মিলে চালের দাম অনেক বেড়েছে, এ কারণে বাজারেও চালের দাম বাড়তি। মূলত, ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দামও বেড়েছে বলে আমাদের ধারণা।

ঠাকুরগাঁওয়ের ন্যাশনাল রাইস মিলের কর্ণধার মোহাম্মদ হাসান রাজু বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে এখন চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে। মাঝারি মানের চাল ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢাকায় মিনিকেট চালের কেজি ৬২ টাকা হলে, আমাদের হিসেবে এটা অনেক বেশি। এই দাম বাড়ার কারণ একদিকে ধানের দাম বেশি। অন্যদিকে ছোট ছোট হাসকি মিলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে। এসব কারণে চালের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন