দেশে বছরে ফাঁকি দেয়া করের পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকারও বেশি। এই তথ্য উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার হিসেবে। তবে এনবিআর’র তদন্ত বলছে পরিমাণ সামান্যই। এছাড়া বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বিপুল রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে আমদানি পণ্যের দাম কম দেখিয়ে। এসব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ কোনো তথ্যই নেই কর বিভাগের কাছে। এজন্য বিশ্লেষকরা কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও দুর্নীতির পাশাপাশি সেকেলে কর আদায় ব্যবস্থাকে দুষছেন।
এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো হেডকোয়ার্টারে অনেক টাকা নিয়ে যায়। এজন্য আইন করেছি কিন্তু ধরার কায়দা নেই।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় কিছু লোকের অনেক সম্পদ রয়েছে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে সঠিকভাবে ট্যাক্স আদায় করতে পারছি না।
অর্থনীতিবিদরা জানান, দুর্নীতি, অদক্ষতা, প্রশাসনিক ও আইনি দুর্বলতার পাশাপাশি অটোমেশন না হওয়ায় জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ কর আদায় হচ্ছে না ।
পিআরআই নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর জানান, আমাদের বছরে করের অনাদায়ের পরিমাণ জিডিপির ১০ শতাংশ। দ্বিগুণের বেশি আমরা কালেক্ট করতে পারতাম, যদি নীতিগত, প্রশাসনিক ও অটোমেশনের মাধ্যমে আমরা এ সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারতাম।
এদিকে কর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সীমিত লোকবল, অপ্রতুল অবকাঠামোসহ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনে সবোর্চ্চ চেষ্টা করা হয়।
কর অঞ্চল-৪ অতিরিক্ত কমিশনার ড. নাশিদ রিজওয়ানা মনির বলেছেন, ইনকাম ট্যাক্সের নিজস্ব কোন পুলিশি সার্ভিস নেই। এছাড়াও কোন বিষয়ে তদন্ত করার জন্য যে ধরনের দক্ষ লোকবল প্রয়োজন সেটা এনবিআরের নেই।
আনন্দবাজার/টি এস পি