ভারত থেকে ১৭১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার। এছাড়া বাগেরহাটে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনসহ ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে সবমিলিয়ে ব্যয় হবে তিন হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বিস্তারিত জানান।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্যাকেজ-২-এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ক্রয়ের প্রস্তাবে সায় দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ৪০৪.৩৫ ডলার। আর প্রতি কেজি চালের দাম ৩৪.২৮ টাকা। ৫০ হাজার মেট্রিক টন চালে ব্যয় হবে মোট ১৭১ কোটি ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। ভারতের এমএস রিকা গ্লোবাল ইমপ্যাক্টস লিমিটেড থেকে এই চাল আমদানি করা হবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির তিনটি পৃথক ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৫৬ কোটি ছয় লাখ টাকা। ২৫ হাজার মেট্রিক টন করে অন্য দুই প্রস্তাবে দুটি পৃথক লটে (নবম ও দশম) মোট ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করা হবে। সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (সাবিক) থেকে এই সার আমদানি করা হবে। প্রতিটি লটে ব্যয় হবে ৫৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
তিনি জানান, বৈঠকে মোংলা বাগেরহাটে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যৌথভাবে এটি বাস্তবায়ন করবে কনসোর্টিয়াম অব এনভিশন এনার্জি (জিয়াংসু) কম্পানি লিমিটেড, চায়না; দেশীয় প্রতিষ্ঠান এসকিউ ট্রেডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং হংকংয়ের প্রতিষ্ঠান এনভিশন রিনিউয়েবল লিমিটেড। এই বিদ্যুেকন্দ্র থেকে ২০ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। প্রতি কিলোওয়াট/ঘণ্টা বিদ্যুতের ট্যারিফ হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা ৫৬ পয়সা। এতে ২০ বছরে মোট ব্যয় হবে দুই হাজার ৩৫ কোটি ১২ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ লিংক সড়ক (আর-১১১) (সাইনবোর্ড-চাষাঢ়া) ৬ লেনে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডাব্লিউপি-০১-এর কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩৬৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যৌথভাবে কাজটি পেয়েছে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড ও হাসান টেকনো ব্রাদার্স লিমিটেড। এখানে লিড পার্টনার হিসেবে থাকছে তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস