তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ বাড়ছে এশিয়ার বাজারে, এই কারনে প্রভাব পড়েছে জ্বালানি পণ্যটির দামে। চলমান বাজারে বাড়তি সরবরাহ থাকায় এবং সামনের দিকে সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনায় এ সপ্তাহে এলএনজির দাম কমতির দিকে রয়েছে।
ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় চলতি সপ্তাহে এলএনজির দাম ৪০ সেন্ট কমে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটের দাম দাঁড়িয়েছে ৫ ডলার ৯০ সেন্ট। তাই এলএনজির বাজার চাঙ্গা হওয়ার আসায় থাকা কার্গোগুলো এখন কার্যত দাম বৃদ্ধির প্রত্যাশা ছেড়ে দিয়েছে। কারণ চলতি মাসে এশিয়ার বাজারে এলএনজির সরবরাহ আরো বেড়ে যাবে।
খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এসব এলএনজি বাজারে সরবরাহ শুরু হলে দাম আরো কমবে। তারই মধ্যে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে ৬ ডলারের কমে এলএনজি কয়েকটি ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার শাখালিন-২, ১১ ডিসেম্বরের সরবরাহের চুক্তিতে এলএনজির কার্গো প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট ৬ ডলারের নিচে বিক্রি করেছে। অন্যদিকে জাপানের তোহোকু বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যও ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে একই দামে এলএনজি ক্রয় করা হয়েছে।
এছড়া বাড়তি সরবরাহের ফলে এশিয়ার বাজারে এলএনজির চাহিদা স্থিতিশীল থাকবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কোরিয়া গ্যাস করপোরেশনের (কোওজিএএস) এলএনজির পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। যে কারণে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি ছাড়া দেশটিতে আর এলএনজি ক্রয়ের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। একই অবস্থায় অন্যতম ভোক্তা দেশ চীনেও বাকি মাসগুলোতে এলএনজির চাহিদা ১৪-১৭ শতাংশের মধ্যে থাকবে। যেখানে গত বছর একই সময়ে চাহিদা ছিল ৪১-৪২ শতাংশের মধ্যে।