বিশ্বজুড়েই বৈদ্যুতিক গাড়ি বা ‘গ্রিন কারে’র চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই সংক্রান্ত শিল্পও। তাই এর সাথে তাল রেখেই বাংলাদেশেও বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পের অনেক সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
এ দেশে এখনও নতুন বনাম পুরনো পুনর্ব্যহারযোগ্য গাড়ি নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে, কিন্তু তবুও ভবিষ্যতের অটোমোবাইল শিল্প গড়ে উঠবে টেকসই, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নির্ভর। গত বুধবার এক সেমিনারে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত ‘কার মার্কেট ইন বাংলাদেশ’ চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি জানান, সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে যে ‘অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করা হচ্ছে, তাতে সড়ক ও যানবাহন ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করা খুবই প্রয়োজন। কারণ সড়কের ধারণক্ষমতার সাথে গাড়ি চলাচলের ব্যাপারটি সম্পর্কযুক্ত।
সেমিনারে তিনি আরও জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে । এ রকম একটা পড়তি শিল্পের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন করাটা বিনিয়োগের অনেক অপচয় হবে।
তবে প্রযুক্তি কারও জন্য অপেক্ষা করে না। আমরা যদি গাড়ি শিল্পের দিকে যেতে চাই, তাহলে আমাদের এখনই কাজে নেমে পড়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে