আজ ৩ নভেম্বর কলঙ্কিত জেলহত্যা দিবস। ৪৪ বছর আগে এই দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা- প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান ছিল অমূল্য। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তারা ছিলেন ঘনিষ্ঠ সহচর।
১৯৭৫ সালের এই নিষ্ঠুর ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয় সমগ্র বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলো। সেদিন কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এ ধরনের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এই হত্যাকাণ্ড একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডেরই ধারাবাহিকতা।
বাঙ্গালী জাতি যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের অন্যতম এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করবে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে সারা দেশে পালিত হবে এই শোকাবহ জেলহত্যা দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে।
সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। এরপর সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতার কবরে এবং রাজশাহীতে জাতীয় নেতা কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া আজ বেলা ৩টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আনন্দবাজার/এম.কে