ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ রবিবার (২৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর থেকে বিগত ২২ বছর যাবত বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে সেতু দিয়ে রেল পারাপার হয়ে আসছে। তাই এবার বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মাণ করা হচ্ছে ডাবল লেনের ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেল সেতু।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে ঢাকার সাথে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ চালু হয়। তবে প্রথমে ব্রডগেজ ও মিটারগেজের ৪ টি ট্রেন প্রতিদিন আটবার পারাপারের পরিকল্পনা থাকলেও যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি হতে থাকায় সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ায় আবার কমিয়ে দেওয়া হয় সেতুর ওপরে চলাচলকারী ট্রেনের গতিসীমা।
ফলে বর্তমানে ৩৮টি ট্রেন নিয়মিত ধীর গতিতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। কিন্তু এতে সময় অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়। সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে যাত্রীদের ভোগান্তি। তাই ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ডেডিকেডেট এই রেল সেতু।
এই সেতুর ওপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার বেগে দুটি ট্রেন একসাথে চলাচল করতে পারবে। উন্মুক্ত হবে সকল ধরনের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের। ফলে সময় সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার বৃদ্ধি পাবে।
এই বিষয়ে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন জানান, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারে যৌথ অর্থায়নে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা খরচে এই রেল সেতুটি তৈরি করা হবে। আর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জাইকা। আগামী ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে সেতুর কাজ সমাপ্ত করা হবে। এই সেতু দিয়ে ১০০ কিলোমিটার বেগে একই সাথে ২ টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। পাশাপাশি সকল ধরনের মালবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে