করোনার প্রভাবে ঋণের সুনামিতে প্লাবিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। বছর শেষে বৈশ্বিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৭৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স (আইআইএফ)।
বিশ্ব অর্থনীতিকে ২০২০ সালে করোনা এতটাই বিপর্যস্ত করেছে যে, মোট বৈশ্বিক ঋণের পরিমাণ আকাশ ছুঁয়েছে। আইআইএফের গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, করোনার ধাক্কা সামাল দিতে সব দেশের সরকার আর কোম্পানিগুলো কোটি কোটি ডলার খরচ করছে। সেপ্টেম্বরেই বিশ্বজুড়ে মোট ঋণের পরিমাণ ছিলো ২৭২ ট্রিলিয়ন ডলার। বছর শেষে তা পৌঁছাবে ২৭৭ ট্রিলিয়ন ডলারে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে উন্নত দেশগুলোর ঋণ মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধির ৪৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, ২০১৯ সালে বেড়েছিল মাত্র ৫০ শতাংশ। এর মাঝে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রণোদনা পরিকল্পনা নেওয়ার পর সর্বোচ্চ বেড়েছে এ দেশের ঋণ। বর্তমানে দেশটির মোট ঋণ ৮০ ট্রিলিয়ন, ২০১৯ সালে যা ছিল ৭১ ট্রিলিয়ন ডলার।
একই সময়ে ইউরোজোনের মোট ঋণ ৫৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। কিন্তু এ পরিমাণ ২০১৪ সালের মন্দায় হওয়া ৫৫ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণের চেয়ে কম। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণ মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধির ২৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ভিতরে আর্থিক খাতবহির্ভূত ঋণ বেড়েছে লেবানন, চীন, মালয়েশিয়া আর তুরস্কের। আইআইএফের সদস্য বিশ্বের ৪০০ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
অপরদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ বলছে, চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ সংকুচিত হবে, ১৯৩০ সালের পর যা সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে অর্থনীতি সম্প্রসারিত হবে ৫ শতাংশের ওপরে। বিশ্বব্যাংক জানায়, বিশ্ব অর্থনীতি পরিস্থিতি করোনা পূর্ববর্তী অবস্থায় সহজে ফিরবে না।
আনন্দবাজার/এফআইবি