ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এনআইডির দায়িত্ব পাচ্ছে নতুন প্রতিষ্ঠান

এনআইডির দায়িত্বে আসছে নতুন প্রতিষ্ঠান। দেশের সকল নাগরিকের তথ্য সংরক্ষন এক ছাতার নিচে আনার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এই বিষয়ে নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণে আলাদা বিধিবদ্ধ সংস্থা গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী সম্মতি পেলেই এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসকে (সিআরভিএস) কেন্দ্র করে এনআইডির দায়িত্বে নতুন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারে সরকার।

সিআরভিএস বাস্তবায়ন করার উদ্দেশে এই পৃথক সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) নিবন্ধন, ভোটার তালিকার তথ্যসহ দেশের সব নাগরিকের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য এই সংস্থায় সংরক্ষিত থাকবে। ২০১৪ সাল থেকে সিআরভিএস বাস্তবায়নের উদ্দেশে কাজ করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সেই সাথে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তার আওতায় নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত আলাদা একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে বলেছে, এতে সরকারের ব্যয় অনেক হ্রাস পাবে। সেই সাথে দ্রুত সেবা পাবে সাধারণ মানুষ। গেল সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সোলতান আহ্মদ। একই বিভাগের উপসচিব তানভীর আহমেদ, যুগ্ম সচিব শফিউল আজিম, শহিদুল ইসলাম, শামছুল আলম ও সিনিয়র সহকারী সচিব নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ কমিটিতে ছিলেন।

তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেওয়া পরামর্শ বাস্তবায়ন করলে এনআইডি নিবন্ধনের দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশন কারো হাতেই দায়িত্ব থাকার সুযোগ থাকবে না।

নাগরিকের ঠিকানা, জন্ম, মৃত্যুসহ সকল তথ্যাদির ব্যাপারে এই বিভাগ (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ) সিআরভিএস কার্যক্রম পরিচালনা করে। জাতীয় পরিচায়পত্রও এক ধরনের সিভিল রেজিস্ট্রেশন। সুতরাং জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য সিভিল রেজিস্ট্রেশনের সকল কার্যক্রম নির্বাহী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিদ্যমান আইন, নীতি ও বিধি সংশোধনক্রমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আওতায় একটি কর্তৃপক্ষের অধীনে ন্যস্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারিন

জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন ও বিতরণের কাজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আওতায় নতুন সংস্থার মাধ্যমে করা প্রয়োজন, এর যৌক্তিকতাও তুলে ধরেছে এসংক্রান্ত কমিটি। তারা বলেন, ভোটার তালিকা সকল কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হলেও এনআইডি নিবন্ধন নির্বাহী ধরনের কাজ।

ভোটার শনাক্তকরণের কাজে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো নির্বাচন কমিশনও এনআইডি ব্যবহার করে। এনআইডির ব্যাপারটি সর্বজনীন, অপরদিকে ভোটার তালিকার ব্যাপারটি শুধু ভোটার হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য ও নির্বাচনের উদ্দেশে প্রণীত। তাই জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম সরকারের আওতায় উপযুক্ত কোনো সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বতন্ত্রভাবে হওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন