ফেসবুকের কাছে ৩৭১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মোট ২৪১টি আবেদনের মাধ্যমে এসব তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের ভিতরে ফেসবুকের কাছে এ আবেদনগুলো করা হয়েছে বলে সম্প্রতি ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
ফেসবুকের হালনাগাদ এ প্রতিবেদনে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কোন ধরনের অনুরোধ জানায়, তা উল্লেখ করা হয়। তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, তা জানায় না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে করা ২৪১টি আবেদনের মধ্যে ১৪২টি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও ৯৯টি জরুরি ভিত্তিতে করা হয়েছে। এরই মাঝে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে ৪৪ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছে।
ফেসবুকের তথ্যমতে, ফেসবুকের কাছে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য চাওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের শেষ ছয় মাসে ফেসবুককে ১৭৯টি অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশ সরকার। তখন ফেসবুক ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে তাতে সাড়া দিয়েছিল। ফেসবুকের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী সময়ের মাঝে এবারই সবচেয়ে বেশি অনুরোধ করা হয়েছে।
সারাবিশ্বে ফেসবুকের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চাওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসেই ফেসবুকের কাছে ২৩ শতাংশ বেশি তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে অনুরোধ গেছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৫টি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারপর আছে ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য বছরের প্রথম ছয় মাসে ৬১ হাজার ৫২৮টি অনুরোধ করেন, যা গত বছরের শেষার্ধের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
এর পূর্বে ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে করা অনুরোধে সাড়া দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য নিয়ে ওই বছরের ২৮ এপ্রিল ফেসবুক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। তারপর থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
আনন্দবাজার/এফআইবি